মাতৃত্বেই নারীত্বের পূর্ণ বিকাশ। কিন্তু মা হওয়ার আগে গর্ভাবস্থায় প্রতিটি হবু মাকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
মনে রাখতে হবে এসময় সাধারণভাবে ‘মা’ খুব একটা বাড়ির বাইরে বেরুতে পারেন না। তাকে অনেকটা সময় কাটাতে হয় বাড়ি মধ্যে। তাই তার মনের উপর বাড়ির বিভিন্ন জিনিস যে প্রভাব বিস্তার করবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ বিষয়ে বাস্তুশাস্ত্র জানায়, সহজ গর্ভধারণ ও তার পরবর্তী অধ্যায় আরও সুস্থ ও আনন্দদায়ক হতে পারে যদি শাস্ত্র মেনে ঘর সাজানো যায়। আসুন দেখে নিই কেমন সেই পদ্ধতি।
বাস্তুশাস্ত্র বলছে, সন্তান চাইছেন এমন দম্পতির ঘর সব সময় উত্তর-পশ্চিমমুখী হওয়াই ভালো। অন্তত ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না গর্ভধারণ হচ্ছে।
১
গর্ভাবস্থায় সব সময় দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী ঘরে শোওয়া উচিৎ বলে বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে। বদলে উত্তর-পূর্বমুখী ঘরেও শোওয়া যেতে পারে।
২
নির্দিষ্ট দিক মেনে শুলে মায়েদের পক্ষে আরও ভালো। গর্ভবতী মায়েরা সব সময় দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে শোবার চেষ্টা করবেন। এই দিকটি এই অবস্থার জন্য শুভ।
৩
বাস্তুমতে মা হতে চলেছেন এমন মানুষদের লাল, কালো বা কমলার মতো গাঢ় রং এড়িয়ে চলাই ভালো। পরিবর্তে পোশাকে বা ঘরের দেওয়ালে হাল্কা নীল, সাদা বা হাল্কা গোলাপি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, গাঢ় রং অনেক সময় গর্ভবতীকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে। যা মা আর সন্তানের জন্য একেবারেই কাম্য নয়। হালকা রং অবসাদ কাটাতে সাহায্য করবে।
৪
এই অবস্থায় অবসর কাটানোর সেরা উপায় ভালো অর্থাৎ, ইতিবাচক বই পড়া। হালাকা হাসির সিনেমা, নাটক দেখতে পারেন। এগুলো পজিটিভ এনার্জির জন্ম দেয়। যা মা ও সন্তান উভয়ের পক্ষেই উপকারী।
৫
বাস্তুমতে ঘরের কেন্দ্র স্থানের আরেক নাম ব্রহ্ম স্থান। এই স্থান সব সময় ফাঁকা রাখার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ, ঘরের মাঝখানে কোনো ভারী আসবাব না রেখে চারপাশে সাজিয়ে রাখুন।
৬
ঘরের কোণে পছন্দ মতো ফুল রাখতে পারেন। তবে কড়া গন্ধযুক্ত ফুল না রাখাই ভালো। সাদা রঙের ফুল রাখার চেষ্টা করুন। ফুল শুকিয়ে গেলে কখনই ঘরে রাখবেন না।
৭
পর্দার রং হালকা নীল এ সময়ের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পছন্দের যেকোনো হালকা রং ব্যবহার করতে পারে।
৮
ঘরে রাখা ছবি মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। গর্ভবতী মায়ের ঘরে উত্তাল সমুদ্র, যুদ্ধ, ঝরনা, আগুন- এ ধরনের ছবি কোনোভাবেই রাখবেন না। ফুল, গাছ, শিশু প্রভৃতির ছবি রাখুন।
সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
এএ