ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

করোনার সঙ্গে লড়তে কলকাতায় তৈরি হলো ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২০
করোনার সঙ্গে লড়তে কলকাতায় তৈরি হলো ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’ ইমিউনিটি সন্দেশ।

কলকাতা: গোটা বিশ্বে এখনো করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। অপরদিকে, বিশেজ্ঞদের মত করোনা সঙ্গে লড়াই করতে শরীরে প্রয়োজন ‘ইমিউনিটি পাওয়ার’। তাই কলকাতাবাসীকে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি দিতে এক মিষ্টি প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলল সম্পূর্ণ ওষুধিগুণে ভরা ছানার সন্দেশ। 

সন্দেশটির নাম দেওয়া হয়েছ ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’। উপকারী ওষুধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ উপাদান এবং ছানার মিশ্রনে তৈরি হয়েছে এই সন্দেশ।

বাঙালির মনে ও শরীরে শক্তি জোগাতেই এই পরিকল্পনা করেছে কলকাতার প্রথমসারির প্রখ্যাত মিষ্টির দোকান ‘বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিক। ’

বাজারে আসতেই হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’। এতে আছে ১৪টি আয়ুর্বেদিক উপাদান ও ছানা। সন্দেশ তৈরি হয়েছে তুলসি, যষ্টিমধু, তেজপাতা, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জায়ফল, যৈত্রী, কেশর, কালোজিরে এবং আরও কিছু ভেষজ উপাদান। এছাড়া নামে মিষ্টি হলেও সন্দেশে ব্যবহার করা হয়নি চিনি বা গুড়। এমনকী নেই কোনো বাড়তি রং।

কর্ণধার সুদীপ মল্লিক বলেন, মিষ্টতার জন্য গুড় বা চিনি কোনোটাই ব্যবহার করা হয়নি। এই মিষ্টির জন্য আমরা ব্যবহার করেছি ‘হিমালয়ান মধু’। আর সঙ্গে আছে ১৪ রকমের হার্বাল।

এরপর তিনি বলেন, বিশেজ্ঞদের মতে করোনার সঙ্গে লড়তে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। ভারতীয় আয়ুর্বেদশাস্ত্রে শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে এই সব ভেষজ উপাদানগুলোর কথাই বলা আছে। তাই একটা চেষ্টা মাত্র। রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন একটা করে খেতেই পারেন। চিনি বা গুড় নেই। তাই সব ধরনের রোগী ইমিউনিটি সন্দেশের স্বাদ নিতে পারবে।

তথ্য বলছে, করোনার দাপট পুরোদমে জারি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে প্রভাবিত অঞ্চল কলকাতায়। সেই কলকাতার, মিষ্টিপ্রিয় বাঙালির জন্য বানিয়ে ফেলা হলো ‘ইমিউনিটি সন্দেশ’। যা বাজারে আসতেই ভালোই বিক্রি হচ্ছে। দাম মাত্র ২৫ রুপি প্রতি পিস।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
ভিএস/এএটি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।