আগের থেকে আরো আধুনিক এবং বেশি সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) তৈরি করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিলের তত্ত্বাবধানে সার্ভার সিনক্রোনাইজড ইভিএম প্রজেক্টটি নিয়ে কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী প্রশান্ত ভট্টাচার্য।
উদ্ভাবকরা জানান, এই ইভিএম,র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনেক নিরাপদ। কারণ ভোটার যদি একের অধিক ভোট দিতে চাই তাহলে নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবে এটি।
এছাড়া এটি আলাদা তিনটি সার্ভারে তথ্যাদি সরবরাহ করে এবং মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে। ফলে ইভিএমটি ছাড়াও তথ্য পেতে কোনো সমস্যা নেই।
এমনিক ইভিএমটি চুরি হয়ে গেলেও নিজ অবস্থান জানাতে সক্ষম।
অনলাইন-অফলাইন দুই মোডেই কাজ করে এই ইভিএম। আলাদা চার্জ ছাড়া দুইদিন পর্যন্ত এটি কার্যোপযোগী থাকে।
নির্বাচন কমিশনের অনুমতি পেলে এতে আরো সুবিধা এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রোগ্রাম যুক্ত করার প্রত্যাশা করছেন উদ্ভাবকরা। মেশিনটি তৈরি করতে দেশের বাহির থেকে কোনো জিনিস আনার প্রয়োজন হয়না তাই খরচও অনেক কম। মাত্র ৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মেশিনটি তৈরি সম্ভব।
ভবিষ্যতে ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ, চেহারা সনাক্ত সহ আরো কিছু সুবিধা যুক্ত করারও আশা রয়েছে তাদের।
অত্যাধুনিক এই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন দেখে অর্থ মন্ত্রী সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪