ঢাকা: প্রযুক্তিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার কথা।
তার জায়গা থেকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কিছু দিতে না পারায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ড. ইয়াফেস ওসমান।
বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি (বিসিএস একাডেমি) মিলনায়তনে ‘বিসিএসআইআর ৩৫ জন বিজ্ঞানীর প্রথম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
স্থপতি ওসমান বলেন, প্রযুক্তি এখন কৃষকের হাতে পৌঁছে গেছে। সেক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে সেই কৃষককে কীভাবে ভালো ফলনের প্রযুক্তি দেওয়া যায় তা বিসিএসআইআর দেওয়ার কথা। কিন্তু দিতে পারি নি।
তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশকে একা নয়, সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তরুণরাই দেশকে বদলানোর জন্য জন্মেছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের ভূমিকা অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা নয়, বাস্তব জীবনের শিক্ষা নিয়ে তরুণ বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে।
সনদ পাওয়া বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে ওসমান বলেন, তোমরা সৌভাগ্যবান যে তোমরাই প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ পেয়েছ। রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে তোমরা দায়বদ্ধ।
রাষ্ট্রের যেকোনো প্রতিকূল সময়ে বিজ্ঞানের সব শিক্ষা রাষ্ট্র ও সমাজের কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, একজন বিজ্ঞানী তৈরি করতে সমাজ ও রাষ্ট্র অনেক শ্রম, অর্থ ব্যয় করে। এসব শিক্ষা প্রয়োজনে সরাসরি সমাজ ও রাষ্ট্রকে দিতে হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আজ অনেক অর্বাচীন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুখরোচক কথা বলে। অথচ এ নেতার জন্ম না হলে এ রাষ্ট্র, বাংলাদেশ হতো না।
ভারতের উদাহরণ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত আইটিতে অনেক এগিয়ে যা আমাদেরও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে তা হয়ে উঠছে না। তবে ভারতও স্বীকার করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুল ইসলাম মেহেদীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির পরিচালক আবদুর রউফ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআর ৩৫ জন বিজ্ঞানীকে সনদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৪