ঢাকা: দেশের ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে দক্ষ তথ্য-প্রযুক্তি পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলে দেশের আইটি খাতকে আরো বিকশিত করা হবে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গর্ভনেন্স’ (এলআইসিটি)-এর অধীনে এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আইসিটিতে দক্ষ পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে এ কর্মসূচি। যা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে আগামী ডিসেম্বরেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে ওই তরুণ-তরুণীদের। এজন্য চলতি নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়।
ফাস্ট ট্রাক ফিউচার লিডার (এফটিএফএল) প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চার হাজার ও টপআপ আইটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অপর চার হাজার তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কেবলমাত্র টপআপ আইটি প্রশিক্ষণে ১০ হাজার এবং ফাউন্ডেশনাল কর্মসূচির আওতায় ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গর্ভনেন্স’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭২ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক এজন্য বাংলাদেশকে ৭০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে। বাকি অর্থ ১২ কোটি টাকা সরকারের খাত থেকে ব্যয় করা হবে।
এলআইসিটি প্রকল্প বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আইটি প্রোগ্রামের কমিউনিকেশন্স কনসালটেন্ট অজিত কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব রয়েছে। এ খাত উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ চাই। সরকার তাই ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গর্ভনেন্স’ প্রকল্পে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বমানের ৩৪ হাজার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে যাচ্ছেন। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এরমধ্যে আইটি লিডার গড়া হবে ৪ হাজার তরুণকে। চলতি বছরের প্রথম দিকে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে দক্ষ তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালে।
বিশ্বব্যাংকের আইটি প্রোগ্রামের কমিউনিকেশন্স কনসালটেন্ট এ প্রকল্প প্রসঙ্গে আরো বলেন, এর বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে- এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ দিয়ে উন্নত কারিকুলাম অনুসরণ করে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে।
তিনি বলেন, কেন-না বিশ্ববাজারের চাহিদা ও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে হলে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বিশ্ব ব্যাংক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, হাভার্ডের মতো বিদেশি উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের কারিকুলাম অনুসরন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৪