জিওমি’র মি ৪ উন্মুক্তের বয়স ৬ মাস। কিন্তু এখনও বিশ্বের দ্রুত উত্থানশীল স্মার্টফোনের বাজারগুলোতে পৌছেনি পণ্যটি।
ধীরেধীরে বিভিন্ন বাজারে পণ্য প্রকাশ এটা জিওমি’র এক ধরনের কৌশল বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। এদিকে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া জিওমি পণ্য
দেরীতে ভারতের বাজারে আসলেও স্থানীয় ভক্তদের কাছে এটি চমকপ্রদ খবর।
মি ৪ নিয়ে বলা হচ্ছে এটি জিওমি’র অতি গোপনীয় সস্তার একটি পণ্য। কারণ প্রতিষ্ঠানটি চাইছে কম দামের পণ্য দিয়ে বিশ্ব বাজারে নিজেদের অবস্থা টেকসই
করতে।
উল্লেখ্য, মি ৪ এর ঘোষণা আসে গত বছরের জুলাইয়ে আর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মু্ক্ত হয় আগস্টে। চীনের বাজারে এটি অ্যাপল পণ্যকেও হার মানিয়েছে।
এদিকে ভারতের বাজারে এই সময়ের মধ্যে স্ন্যাপড্রাগন ৮০৫ যুক্ত পণ্যের উপস্থিতি হয়েছে আর বর্তমানে ৬৪ বিটের স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্লাটফর্মের পণ্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তাই কারিগরি দিকের বিচারে মি ৪ এর দাম ঐসব পণ্যের সাথে তুলনাযোগ্য নয় এমন হওয়াটাই উচিত।
এছাড়া নেক্সাস ৬ এর সাথে মি ৪ এর তুলনায় বর্তমানে এর হার্ডওয়্যার কিছুটা পুরাতন। যার কারণে ভারতের বাজারে মি ৪ এর বিক্রি খুব প্রত্যাশাজনক হবেনা এমনও বলছে বাজার বিশ্লেষকরা। মি ৪ এর দাম হবে ভারতীয় রুপীতে প্রায় ২০ হাজার।
পাশাপাশি ৯ হাজার রুপির ৬৪ বিটের অক্টা কোরের স্ন্যাপড্রাগন ৬১৫ যুক্ত ওয়াইইউ ইউরেকা‘র সাথে ১০ হাজার রুপির কোয়া্ড কোর স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ এর জিওমির রেডমি নোট ৪জি এর তুলনা করলেই সবকিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে এমনও বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫