ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

থ্রি-জি ইন্টারনেট কাভারেজহীন এলাকা ঘোচানো দরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫
থ্রি-জি ইন্টারনেট কাভারেজহীন এলাকা ঘোচানো দরকার

ঢাকা: যে এলাকা থ্রি-জি ইন্টারনেট কাভারেজের আওতায় নেই, তা ঘোচানো দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।

থ্রি-জি সেবা নিয়ে অপারেটরদের জন্য এক নির্দেশনা জারির পর এ কথা বলেন তিনি।



সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) কমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাহকদের জানা দরকার কোন এলাকায় থ্রি-জি সেবা আছে, কোন এলাকায় নেই। এ বিষয়গুলো ঘোচানো দরকার।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, থ্রি-জি প্যাকেজ সেবা গ্রহণকারী টু-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে গ্রাহককে ৪০ শতাংশ সাবসিডি বা ক্ষতিপূরণ দিতে সম্প্রতি অপারেটরদের একটি নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো গ্রাহক থ্রি-জি নেটওয়ার্কের বাইরে থেকে থ্রি-জি ইন্টারনেট প্যাকেজ অপট ইন করার আগ্রহ প্রকাশ করলে অপট ইনের আগে সেই গ্রাহককে এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে যে, তিনি থ্রি-জি নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছেন।
 
টু-জি ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম অবশ্যই থ্রি-জি ইন্টারনেট প্যাকেজ থেকে কম নির্ধারণ করতে হবে।

টু-জি ইন্টারনেট প্যাকেজ বা থ্রি-জি ইন্টারনেট প্যাকেজে অপট ইনকৃত গ্রাহককে প্যাকেজে বর্ণিত স্পিড নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছাতে হবে।

এছাড়া থ্রি-জি প্যাকেজে অপট ইনকৃত গ্রাহক থ্রি-জি আওতার বাইরে গেলে টু-জি নেটওয়ার্কে চলে যায়। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন অপারেটররা সেই গ্রাহককে টু-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত ভলিউমের ৪০ শতাংশ সাবসিডি/ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। অর্থাৎ টু-জি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ভলিউমের ৬০ শতাংশ মূল থ্রি-জি প্যাকেজের ভলিউম থেকে কাটা হবে।  

এ সব বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, যখন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক নিচ্ছেন, তখন টু-জি এবং থ্রি-জিকে টেকনোলজির ভিত্তিতে আলাদা বিচার করার কোনো খুব সহজ নয়। এই এরিয়া গ্রে থাকাও কঠিন।

তিনি বলেন, অপারেটরদের কোনো কোনো এলাকায় টু-জি আবার কোনো কোনো এলাকায় থ্রি-জি নেটওয়ার্ক আছে। যে কোনো প্যাকেজ নিলে থ্রি-জি এরিয়ায় যে স্পিড পায়, টু-জি এরিয়ায় গেলে সে স্পিড যায় না। গ্রাহকদের জানা দরকার, কোন এলাকায় থ্রি-জি আছে, আর কোন এলাকায় থ্রি-জি নেই। এ বিষয়গুলো ঘোচানো দরকার।

কবে নাগাদ কোন এলাকায় থ্রি-জি যাবে, তা অপারেটরদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, অনেকে বলেছে আগামী অক্টোবরের মধ্যে চলে আসবে। আমি চাই ডাটার জন্য টু-জি নেটওয়ার্কের কোনো প্রশ্ন থাকবে না। কারণ, থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্কে যেতে চাই।

২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে দেশে থ্রি-জি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। এরপর থেকেই টু-জি ও থ্রি-জি সেবা নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তি চলছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক চার কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার।

গ্রাহককে ৪০ শতাংশ সাবসিডি বা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
এমআইএইচ/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।