ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইফোন ৬এস’র রেকর্ড প্রি-অর্ডার

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
আইফোন ৬এস’র রেকর্ড প্রি-অর্ডার

ঢাকা: ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আইফোন ৬ ও ৬ প্লাস ছেড়ে রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করেছিলো অ্যাপল। গত ৯ সেপ্টেম্বর আইফোন ৬’র আপডেট ভার্সন ৬এস ও ৬এস প্লাস উন্মুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি।



এরপর ১২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) থেকে আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস’র প্রি-অর্ডার নেওয়া শুরু হয়। এরইমধ্যে হ্যান্ডসেট দু’টির জন্য রেকর্ড সংখ্যক প্রি-অর্ডার পড়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।

তবে কতো সংখ্যক হ্যান্ডসেটের অর্ডার পড়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও, এক সপ্তাহে প্রি-অর্ডারের সংখ্যা এক কোটি ছাড়াবে বলে আশা প্রতিষ্ঠানটির।

থ্রিডি টাচ ডিসপ্লের আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১২টি দেশে পাওয়া যাবে।

প্রি-অর্ডারের বিষয়ে অ্যাপল বলছে, অনলাইনে আইফোন ৬এস’র চাহিদা ব্যাপক। যা আমাদের ধারণার বাইরে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে আমরা দ্রুত কাজ করছি। এছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের স্টোরগুলোতে হ্যান্ডসেট দু’টি যেন ক্রেতারা চাহিদামতো পান সে বিষয়েও সজাগ রয়েছি।

আর বাজারে আসার সঙ্গে প্রথমবারের মতো চীনের বাজারে হ্যান্ডসেটগুলো উন্মুক্ত হওয়ায় আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস’র চাহিদা বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, শুধুমাত্র চীনের বাজারেই প্রথম সপ্তাহে ২০ লাখ আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস’র চাহিদা রয়েছে।

এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন’র (আইডিসি) এক জরিপে দেখা যায়, চলতি বছর আইফোনের চাহিদা বেড়েছে ১৬ শতাংশ। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চাহিদা বেড়েছে ১০ শতাংশ।

সদ্য উন্মুক্ত হওয়া হ্যান্ডসেট দু’টিকে ‘মোস্ট অ্যাডভান্সড ফোন এভার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। সিলভার, গোল্ড, স্পেস গ্রে ছাড়াও ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ‘রোজ গোল্ড’ ভার্সন এনেছে অ্যাপল।

নতুন আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস-এ ব্যবহার করা হয়েছে দ্রুতগতির এ৯ চিপ ও এম৯ মোশন কো-প্রসেসর। উন্নত ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় করা যাবে ৪কে ভিডিও। রয়েছে দ্রুতগতির টাচ আইডি। আর ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে রেটিনা ডিসপ্লে।

আইফোন ৬এস’র ১৬ গিগাবাইটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪৯ ডলার, ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪৯ ডলার ও ১২৮ গিগাবাইটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪৯ ডলার। এছাড়া আইফোন ৬এস প্লাস’র ১৬ গিগাবাইটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪৯ ডলার, ৬৪ গিগাবাইটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪৯ ডলার ও ১২৮ গিগাবাইটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৯ ডলার।

** থ্রিডি টাচ ডিসপ্লে নিয়ে আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।