ঢাকা: নির্ধারিত সময়ের পর অনিবন্ধিত সিমগুলো সাময়িক বন্ধ রেখে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সময় অনুযায়ী, আগামী এপ্রিলের মধ্যে আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ব্যবহৃত এবং নতুন সিম ও রিমকার্ডগুলো নিবন্ধন করে নিতে হবে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন এড়াতে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু করে সরকার।
নিবন্ধন কার্যক্রমে গ্রাহক হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘবে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর এক নম্বরে কয়েকটি রিটেইলার সেন্টার ও কাস্টমার কেয়ার সেন্টার সরেজমিন পরিদর্শন করেন তারানা হালিম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিকের জন্য এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি, অপাতত এটাই নির্ধারিত সময়সীমা।
‘তারপর ক্রমান্বয়ে একঘণ্টা বন্ধ করবো, কখনও দুই ঘণ্টা বন্ধ রেখে বার্তা পৌঁছাবো, যে আপনার সিমটিকে অবশ্যই রিরেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং তারা যথারীতি করবেন। সেটি (অনিবন্ধিত) নির্ধারিত সময় পর পর বন্ধ, তারপর এক দিন বন্ধ, আবার দু’দিন, তারপর ৩/৪ দিন বন্ধ থাকবে; এভাবে তার কাছে বার্তা চলে যাবে যাবে। ’
এপ্রিলের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোথায় কোন সমস্যা হচ্ছে তা বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) থেকে যেকোনো সময় মোবাইল টিম যেকোনো স্থানে যেতে পারে এবং তারা এখন থেকে কাজ শুরু করবে।
তারানা হালিম বলেন, সুস্পষ্টভাবে বলছি, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অপারেটররাও নন। সেবার মনোভাব নিয়ে আমরা কাজ করছি। একজন জনগণেরও ভোগান্তি হবে- সেটা হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, প্রত্যেকটা কাজ শুরু করে সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য অগ্রসর হচ্ছি। এই সেক্টরে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি। যথেচ্ছভাবে কোনো কিছু চলতে পারে না। এই সেক্টরে যে রকম অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অপারেটররা কাজ করেছেন, সেই দিন এখন অতীত- এটা মনে রাখতে হবে।
সিম নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ