ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইটি ইনকিউবেটর পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী পলক ও ভিম্পেলকম’র জন এডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৬
আইটি ইনকিউবেটর পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী পলক ও ভিম্পেলকম’র জন এডি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিম্পেলকম গ্রুপের হেড অব ইমার্জিং মার্কেট জন এডি দেশের প্রথম ডিজিটাল আইটি ইনকিউবেটর পরিদর্শন করেছেন।
 
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারে এ আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের সিইও এরিক অস, চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান।


 
এ বিষয়ে বাংলালিংক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই ইনকিউবেটরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় উদ্যোক্তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সত্যিকার ডিজিটাল উদ্ভাবনসমূহ নিশ্চিত করা। এই উদ্যোগটি তরুণ উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ের জন্য তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সাহায্য করছে।
 
পরিদর্শনকালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমি দেশের তরুণ প্রতিভাবানদের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা দেখে খুবই আনন্দিত। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের প্রথম আইটি ইনকিউবেটরকে সহায়তা করার জন্য বাংলালিংককে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এবং এই তরুণ প্রতিভাবানদের উদ্ভাবিত পণ্য ও সেবাসমূহ দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য আমরা কাজ করে যাবো।
 
ভিম্পেলকম’র জন এডি বলেন, এই আইটি ইনকিউবেটর কেন্দ্রটি ভিম্পেলকমের কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটি ‘মেক ইউর মার্ক’ উদ্যোগের একটি অংশ। ভিম্পেলকম বিশ্বাস করে ডিজিটাল অগ্রযাত্রা কেবল জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই নয়, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতেও বিশেষ অবদান রাখে।  

তিনি বলেন, তরুণদের ডিজিটাল স্টার্ট-আপের এই আয়োজনে আমি সত্যিই খুব অনুপ্রাণিত এবং এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। এই ডিজিটাল অগ্রযাত্রা আমি মনে প্রাণে সমর্থন করি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই স্টার্ট-আপগুলো বাংলাদেশকে ডিজিটাল জাতিতে রূপান্তরে একটি চমক সৃষ্টি করবে।
 
দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল কমিউনিকেশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ডিজিটাল স্টার্ট-আপকারীদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনে সরকারকে সহযোগিতা করেছে।
 
২০১৬ সালের জুলাই মাসে জনতা টাওয়ারে আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক, আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের মহাসচিব হাউলিন ঝাও, ভিম্পলকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অগি কে ফাবেলা এবং বাংলালিংকের সিইও এরিক অস্।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।