ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ছাত্ররা বানালেন চালকবিহীন বাস, চলে সৌরশক্তিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
ছাত্ররা বানালেন চালকবিহীন বাস, চলে সৌরশক্তিতে চালকবিহীন সোলার বাস, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন মানে যেকোনো দেশের সার্বিক অগ্রগতি। জাতির উন্নয়নের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি দেশের রাস্তা-ঘাট এবং যুগোপযোগী যানবাহন। হয়তো সেজন্যই বিশ্বব্যাপী বহু লেনের রাস্তা নির্মাণসহ নতুন নতুন উন্নত প্রযুক্তির যানবাহনের দেখা মিলছে।

ভারতের রাস্তায় এবার দেখা গেছে, সৌরশক্তিতে চালিত একটি চালকবিহীন নতুন প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব বাস। যদিও এ সোলার বাসটি ভারতীয় সরকারের কোনো উদ্যোগে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এ প্রযুক্তিটি বানিয়ে রাস্তায় নামিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ভারতীয় গবেষকরা সৌরশক্তির বাসটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিশ্বব্যাপী বহু চালকবিহীন গাড়ি এসেছে। রিমোট কন্ট্রোল অটো গাড়ি এসেছে। যেগুলো চলে জ্বালানিতে, যেমন- পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি বা বৈদ্যুতিক চার্জের মাধ্যমে। কিন্তু এর আগে সৌশক্তিতে চালিত কোনো চালকবিহীন গাড়ি আসেনি বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা। অতএব, এই ভারতীয় উদ্ভাবনে একটি নতুনত্ব আছে। তাছাড়া এটিতে চালিকাশক্তি হিসেব করলে তুলনামূলক অনেক বেশি সুবিধা।

একটি বাস একক চার্জের মাধ্যমে (ব্যাটারিতে সংরক্ষিত চার্জ বা যখন সৌর চার্জি বন্ধ থাকে) ৭০ কিলোমিটার যেতে পারে। সম্পূর্ণভাবে নতুনরূপে তৈরি করা হয়েছে বাসটি। তাতে ১৫ লাখ রুপি খরচ হয়েছে- বলছে কর্তৃপক্ষ।

বাসের ছাদে রয়েছে সৌর প্যানেল। নিচের দিকে আছে ব্যাটারি। দিনের বেলা সূর্যের তাপে প্যানেল থেকে ব্যাটারি অটোমেটিক্যালি চার্জ গ্রহণ করতে থাকে। আর এই চার্জেই অন্তত ১৫ জন যাত্রী নিয়ে চালক ছাড়া অটোমেটিক্যালি চলে গাড়িটি।

একটি গাড়িতে কয়েকটি প্যানেল রয়েছে। এগুলো দুই কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। যা গিয়ে সংরক্ষণ হয় নিচের দিকে থাকা ছয়টি ব্যাটারিতে। চালকবিহীন সোলার বাস, ছবি: সংগৃহীতফগওয়ারা সিটির লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির এই বাস গবেষণা প্রকল্পের লিডার মনদ্বীপ সিং জানিয়েছেন, চালক ছাড়া চলে বাস। জ্বালানিও লাগে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এগিয়ে যায় বাসটি। একদিকে ব্যাটারি চার্জ হয়, অন্যদিকে বাসটি চলতেই থাকে। বেশ কিছুটা চার্জ সংরক্ষণও হয় ব্যাটারিতে। যা দিয়ে চলে রাতের মুহূর্ত। তবে চার্জিং বন্ধ থাকা অবস্থায় শুধু ব্যাটারিতে সংরক্ষিত চার্জ দিয়ে ৭০ কিলোমিটারের বেশি যেতে পারে না বাসটি।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে এই রকম বাস তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যা এখন এসে বাস্তবায়ন হয়েছে।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটির প্রায় ৩০০ ছাত্র এবং পাঁচজন অনুষদ সদস্য একটি ওয়ার্কশপ তৈরি করে বাসটি নির্মাণ করেছেন।

মুসকান নামে ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র জানিয়েছেন, আমরা সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাসটি বানাতে পেরেছে। প্রযুক্তিগত ব্যাকগ্রাউন্ডই এখানে আমাদের কাজে এসেছে বেশি।

১৫০০ কেজি ওজনের ওই বাস ১৫ জন যাত্রী বহন করে সুন্দরভাবে রাস্তা চলতে পারে। তবে শান্ত রাস্তার প্রয়োজন আছে এর জন্য। ব্যস্ত রাস্তায় চালাতে হলে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া এতে গুগল ম্যাপের সাহায্য নেওয়া হয়েছে রাস্তার দিক নির্দেশনা দিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।