ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এবার প্রযুক্তির হোটেল ব্যবসায় আলিবাবা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
এবার প্রযুক্তির হোটেল ব্যবসায় আলিবাবা প্রযুক্তির সাহায্যে হোটেল ব্যবস্থাপনা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জনপ্রিয় ই-কর্মাস সাইট আলিবাবার দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশ-বিদেশে যাত্রা শুরু হয়েছে বহু অনলাইন পণ্য কেনাবেচার প্লাটফর্ম। সেই আলিবাবা এবার মানুষের সাহায্য ছাড়া প্রযুক্তি দিয়ে শুরু করেছে হোটেল ব্যবসা।

প্রাথমিকভাবে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় চীনের হ্যাংজু শহরে ফ্লাইজু নামে একটি হোটেলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী হোটেল ব্যবস্থাপনায় মানুষের পরিবর্তে তাদের রোবট ও অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোই আলিবাবার প্রধান উদ্দেশ্য।

হোটেলে আগত অতিথিদের প্রয়োজনীয় সব সেবা দেওয়া হবে কণ্ঠস্বর, চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং যান্ত্রিক রোবট দিয়ে। হোটেলটির যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।
 
ফ্লাইজু হোটেলে পৌঁছালে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে সেলফ চেকিং যন্ত্রের সামনে। চীনের নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে। আর বিদেশিদের তথ্য যাচাই করা হবে পাসপোর্টের মাধ্যমে। চেকিং যন্ত্রটি এসময় শনাক্ত করে নেবে আপনার চেহারাও।

তারপরে আপনি কক্ষে যাওয়ার জন্য বা কাঙ্ক্ষিত ফ্লোরে যেতেও লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাকে চেহারা স্ক্যান করিয়ে নিতে হবে। রুমের দরজার কোনো চাবি নেই। রুমও খুলতে হবে একই প্রযুক্তির মাধ্যমে। অবাক করার মতো আরও কিছু জিনিস রয়েছে হোটেলটিতে।

রুমের জানালার পর্দা খোলা কিংবা টেনে দেয়ার জন্য আপনাকে শুধু মৌখিক নির্দেশনা দিলেই হবে। একইভাবে মৌখিক নির্দেশনায় চলবে টেলিভিশনও। তাছাড়া হোটেলে অতিথিদের সেবায় ওয়েটারের ভূমিকায় মানুষের পরিবর্তে দেখা মিলবে রোবটের।

হোটেলটি থেকে আসা খরিদ্দারদের মতে, প্রচলিত হোটেলের সঙ্গে ফ্লাইজুর বড় পার্থক্য- আপনাকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না, যা চাইবেন, বসে থেকেই পাবেন। মিনিটের মধ্যেই আপনার রুমে হাজির হবে দুপুরের খাবার। খরিদ্দারদের অভিজ্ঞতায়- বসে থাকার বিষয়টি একটি নিরাপত্তার, কোথাও উঠে যেতে হচ্ছে না।

২৯০ কক্ষের ওই হোটেলটিতে প্রতি রাত যাপনের জন্য আপনাকে এক রুমের ভাড়া গুনতে হবে কমপক্ষে ২০০ ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার টাকা।

আলিবাবা ফিউচার হোটেল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রি ওয়াং বলেন, আমরা হোটেল ব্যবস্থাপনায় মালিকদের জন্য আরও অনেক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি। তাতে হোটেল ব্যবস্থাপকসহ দু’পক্ষের জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। সেলফ চেকিং যন্ত্র, রোবট কিংবা কণ্ঠস্বর প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য সেবার দক্ষতা ও মান বৃদ্ধি। প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এমন হোটেলে কমে যাবে কর্মীর সংখ্যা। যার ফলে কমে আসবে পরিচালন ব্যয়ও।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।