ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জ্বালানি তৈরি করবে ‘কৃত্রিম পাতা’

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
জ্বালানি তৈরি করবে ‘কৃত্রিম পাতা’ কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে জ্বালানি তৈরি করবে কৃত্রিম পাতা। ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যুগে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই গবেষক-পরিবেশবিদদের। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের দাবিতে আন্দোলন চলছে বহুবছর ধরে। এবছর সেই আন্দোলন জোরদার হয়েছে কয়েকগুণ। দাবি উঠেছে পরিবেশে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানো, ওজোন স্তর রক্ষাসহ মানুষের একমাত্র বসবাসযোগ্য গ্রহ পৃথিবীর সবুজ চেহারা ফিরিয়ে দেওয়ার।

তবে বিশ্ববাসী কিছুটা আশার আলো দেখতে পারে বিজ্ঞানীদের দারুণ এক আবিষ্কারে। সম্প্রতি তারা উদ্ভাবন করেছেন এমন এক ‘কৃত্রিম পাতা’ যা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে একে জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারে।

 

সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে গাছপালার কার্বন ডাই অক্সাইড ভেঙে গ্লুকোজ ও অক্সিজেনে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই কৃত্রিম পাতা। এটি কাপ্রোক্স অক্সাইডের সাহায্যে অনেকটা একই প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইডকে ভেঙে মিথানল ও অক্সিজেনে রূপান্তরিত করে। এই মিথানল সংগ্রহ করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।  

উৎপাদিত মিথানল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।  ছবি: সংগৃহীত

গবেষক দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর অধ্যাপক ইমিন উ বলেন, এই প্রযুক্তি সৌরশক্তি থেকে ১০ শতাংশ জ্বালানিশক্তি পেতে সক্ষম হয়েছে। এটি প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষণের চেয়ে অনেক বেশি (এক শতাংশ)।
 
মূলত চারটি যৌগের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এই জ্বালানি উৎপাদন হয়- গ্লুকোজ, কপার অ্যাসিটেট, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও সোডিয়াম ডোডিসাইল সালফেট। এগুলো পানিতে মিশিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়। এর মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রবাহিত করা হয় এবং তার উপর সাদা আলোকরশ্মি ফেলা হয়।

বিজ্ঞানীরা এখন শিল্প-কারখানার মতো কার্বন ডাই অক্সাইডের সরাসরি উৎস থেকে অধিক পরিমাণে মিথানল উৎপাদন করে তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের চেষ্টা করছেন। তবে, এ কাজে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ইমিন।

তিনি বলেন, এই আবিষ্কারের উপযোগিতা নিয়ে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। জলবায়ু পরিবর্তন একটি জরুরি সমস্যা। আমরা এখন কার্বন ডাই অক্সাইড কমানোর পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানিও তৈরি করতে পারছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।