ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই আহ্বান জানান।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ নিয়ে এই সেমিনারে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিগত এক দশকে বাংলাদেশ অনুন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং এ অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

এই অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও তথ্য-প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের যুগোপযোগী পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে।

‘বাংলাদেশে ডিজিটাল বিনিয়োগ: ফিনটেক থেকে হাইটেক’ শীষর্ক এই সেমিনারে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, কালচারাল, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস মন্ত্রী ম্যাট ওয়ারম্যান, লর্ড রনবীর সিং সুরি, লর্ড ডেবিড হাওয়েল, লর্ড জিতেস গাডিহা, ভেলিরি ভাজ এমপি, স্টিফেন ম্যাটক্লিপ এমপি ও স্টিফেন টিমস এমপিসহ প্রায় ১৫০ ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বিশাল দক্ষ কর্মশক্তির উত্থান ঘটেছে। আইসিটি খাতে গত এক দশকে বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের খাত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই সারা দেশে ফাইবার অপটিক লাইন স্থাপন করা হয়েছে ও প্রায় সারা দেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। নাগরিকদের জন্য ৬০০ ই-সার্ভিস চালু হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি লোক এখন বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। যাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ আইটি পেশাজীবী রয়েছে। এছাড়াও পরিকল্পনা করা হয়েছে ই-গর্ভমেন্টের, স্থাপন করা হয়েছে স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ কোম্পানি এবং ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি তহবিলের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টার্ট-আপ কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ১০০টি স্টার্ট-আপকে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট দেওয়া হবে। তিনি ডিসেম্বর ২০২০-এ ঢাকায় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এবং ২০২১-এ ওয়ার্ল্ড আইটি কংগ্রেস অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানিয়ে ব্রিটিশ এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সুদৃঢ় বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন।

স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে তথ্য-প্রযুক্তির রপ্তানি মাত্র ১৬ শতাংশ। এর পরিমাণ আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন কাজ করছে।

হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু স্টার্ট-আপ ইনোভেশন গ্রান্টের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ তরুণ উদ্যোগক্তাদের তাদের উদ্ভাবনী স্টার্ট-আপ প্রকল্পের প্রস্তাব আইসিটি বিভাগে পাঠানোর আহবান জানান তিনি।

হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুসনে আরা বেগম এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার ওপর দু‘টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন এই সেমিনারের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
টিআর/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।