ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কারাগারে ইমরানের খাবারে বিষ মেশানোর আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
কারাগারে ইমরানের খাবারে বিষ মেশানোর আশঙ্কা

তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের সাজা পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (৫ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন দেশটির একটি আদালত।

সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর ইমরান কারাবন্দী। জেলখানায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া খাবারে বিষ মেশানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি করছেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি।

পাঞ্জাবের আটোক বিভাগীয় কারাগারে বন্দি থাকা ইমরানের খাবারে বিষ মেশানোর আশঙ্কা থেকে সেখানকার স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে চিঠি লেখেন বুশরা। গত ১৭ আগস্ট লেখা চিঠিতে তিনি তার স্বামীকে আটোক থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আবেদন করেন

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো বুশরার চিঠির বিষয়টি প্রকাশ করে।

বুশরা পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জীবন হুমকির মুখে। তিনি দুবার  হামলার শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে অস্ত্র হামলাও রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হলো খাবারের মাধ্যমে জেলে তাকে বিষ প্রয়োগ করা হতে পারে। কারণ আগের হামলাকারী ও এর পরিকল্পনাকারীরা সংখ্যায় অনেক। আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করেনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইমরানকে ঘরের রান্না করা খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে না। তার সেলে বাসার রান্না করা খাবার নিতেও দেওয়া হচ্ছে না। এটি আইন ও তার মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ইমরান খান বি ক্যাটাগরির সেলে থাকার অধিকার রাখেন উল্লেখ করে বুশরা আরও লেখেন, আমার স্বামীকে এমন সেলে রাখা হয়েছে সেখানে সাধারণ সুবিধাও নেই। যা জেল কোডের পরিপন্থী। ইমরানকে বি ক্যাটাগরির সেলে নেওয়ার অনুরোধ করছি। তাকে যেন ঘরের খাবার খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তাকে সেবা দেওয়ার জন্য যেন ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট ইমরানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়। রায়ে ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে তোশাখানার উপহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্বাচনী ১৭৪ ধারার ওপর ভিত্তি করে করে তাকে তিন বছরের জেল দেওয়া হলো।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের করা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়। রায় কার্যকরে এটির একটি কপি ইসলামাবাদ পুলিশ প্রধানের কাছে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মামলার বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার।

এ মামলায় ইমরানকে এক কোটি রুপি জরিমানাও করা হয়।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।