কিছুদিন আগে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাস জেলায় ভোলে বাবার সৎসঙ্গ আয়োজনে অংশ নিয়ে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়।
ডেকান হেরাল্ডসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ডেকান হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) দেবপ্রকাশ মধুকর পুলিশের কাছে ধরা দেন। পদদলিত হয়ে ভক্তদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার নাম ছিল। পুলিশের নথিভুক্ত একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনেও মূল সন্দেহভাজন হিসেবে দেবপ্রকাশ মধুকরের নাম রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজ্যের হাতরাস জেলায় ‘শিব স্মরণে’ ভোলেবাবার নামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভোলে বাবা নিজেই। মূলত তার ভাষণ শুনতেই ভক্তরা সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এ ঘটনার পরপরই দিল্লিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন মধুকর। গতকাল গভীর রাতে তিনি দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা দেন।
তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এমনকি তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য যৌক্তিক তথ্য দিতে পারলে ১ লাখ টাকা পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
মধুকরের আইনজীবী এ পি সিং এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এও জানান, মুধকরকে দিল্লির কাছেই নাজাফগড় এলাকা থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। পরে হাতরাস পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। তবে, পুলিশ এখনও মুধকরকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়নি।
তিনি বলেন, তাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগাম জামিনের আবেদন করছি না। কারণ, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। একটা ধর্মীয় আয়োজন করেছিলেন তিনি, তার অপরাধ কী? মধুকর একজন প্রকৌশলী ও হার্টের রোগী। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার অবস্থা স্থিতিশীল, যে কারণে তাকে আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়, তিনিও তাই করেছেন তদন্তের স্বার্থে। আমরা নিশ্চিত হতে চাই, মধুকরের যেন কিছু না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
এমজে