ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইরানের ‘অপহৃত’ নাগরিক পরমাণু বিজ্ঞানী নন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০
ইরানের ‘অপহৃত’ নাগরিক পরমাণু বিজ্ঞানী নন

তেহরান: মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে গত বছর ‘অপহৃত’ ইরানের নাগরিক পরমাণু বিজ্ঞানী নন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেহরানে পৌঁছার পর তিনি এ কথা বলেন।



ওই বিজ্ঞানির নাম শাহরাম আমিরি। তিনি ২০০৯ সালে সৌদি আরব থেকে উধাও হয়ে যান। তবে অস্ত্রের মুখে তাকে সেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছিলো বলে তিনি দাবি করেন।

তেহরানে পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের নিজেকে একজন ‘সাধারণ গবেষক’ হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, “নাতাঞ্জ ও ফোর্ডো’র (ইরানের দু’টি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চুল্লি) সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই”।

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এটাকে হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। পরমাণু নিয়ে আমি কোনো গবেষণা করিনি। আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ গবেষকের কাজ করি যা সবার জন্য উন্মুক্ত। কোনো গোপন গবেষণা করি না। ”

তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরে শাহরাম আমিরিকে স্বাগত জানান ইরানের উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান ঘাশঘাভি। তিনিও আমিরির পরমাণু বিজ্ঞানির হওয়ার ব্যাপারটা নাকচ করেন।

আমিরি জানান, বন্দি থাকার প্রথম দুই মাসে তাকে “কঠোর মানসিক ও শারীরিক” নিপীড়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাকে অপহরণ করা হয় ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে। এর মাধ্যমে ইরান বিষয়ে অন্য দেশগুলোর কাছে এমন কিছু প্রমাণ করা যা মিথ্যা।

আমির আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের কয়েকটি সেশনে ইসরায়েল থেকেও প্রশ্নকর্তা এসেছিলো। তারা তাকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছিলো।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি কিনটনের মন্তব্যও তিনি নাকচ করে দেন। আমিরি বলেন, “আমি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মন্তব্যে আমি সত্যি সত্যিই আশ্চর্য হয়েছি। তিনি বলছেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীন ছিলাম, সেখানে গেছিও স্বাধীনভাবে। অথচ আমাকে গোয়েন্দা বিভাগের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিলো।

মঙ্গলবার কিনটন বলেছিলেন, “তিনি স্বাধীনবাবে যাবেন। তিনি এসেছিলেনও স্বাধীনভাবে। এসব সিদ্ধান্ত তার ওপরই নির্ভর করছে। ”

আমিরি জানান, যদি তিনি তার মন পরিবতর্ন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যেতে চাইলে তাকে পাঁচ কোটি ডলার দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।