ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আইএসের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অ্যামনেস্টির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৪
আইএসের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অ্যামনেস্টির ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উত্তর ইরাকে গণহত্যা, অপহরণ, জাতিগত নিধনসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস/আইএস) জঙ্গি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ অভিযোগ আনে।



অ্যামনেস্টি প্রতিবেদনে অভিযোগ করে, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী হাজার হাজার না হলেও শত শত ইয়াজিদি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নারী ও শিশুকে অপহরণ করেছে।

এদিকে, লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টির অভিযোগ, আইএস জঙ্গি সদস্যরা ইয়াজিদি ধর্মীয় গোষ্ঠীর পুরুষ ও শিশুকে হত্যার আগে তাদের অনেক হাঁটিয়েছে।

২৬ পৃষ্ঠার অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে অনেক প্রামাণ্য তথ্য উপস্থাপন করে উল্লেখ করা হয়, গত জুন মাসে সিরিয়ায় আইএস বাহিনীর উত্থান হয়। এরপর এই জঙ্গি বাহিনী পার্শ্ববর্তী ইরাকে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এই বাহিনী উত্তর ও পশ্চিম ইরাকে নিজেদর অবস্থান শক্ত করতে থাকে এবং ইরাকের রাজধানী বাগদাদ অভিমুখে অভিযান অব্যাহত রাখে।

অপরদিকে, ইরাকের অনুরোধে জাতিসংঘ সোমবার মানবাধিকার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস বাহিনীর দিয়ে সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা, অপহরণ ও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে তদন্ত করবে।

এ জন্য তারা আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণসহ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

অ্যামনেস্টি প্রতিবেদনে আইএস বাহিনী কর্তৃক খ্রিস্টান, শিয়া, ইয়াজিদি ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়নের বিস্তারিত তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী শত শত ইয়াজিদি নারী ও শিশুকে অপহরণ করেছে, যাদের এখনো খোঁজ মেলেনি।

এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক তদন্ত কর্মকর্তা ডোনেটেলা রোভেরা আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেন, উত্তর ইরাকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে। জাতিগত নিধনের প্রমাণ মিলেছে এবং অপহরণেরও প্রমাণ মিলেছে। আর এ সব করেছে আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠী।

তিনি বলেন, আগস্ট মাসের প্রথম দিকে সিঞ্জার পাহাড়ি এলাকায় দুটো বড় ধরনের গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই গণহত্যায় কতজন পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সেটি হাজার হাজার না হলেও শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের সংসদ সদস্য মাহমা খলিল ইরাক সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইয়াজিদি সম্প্রদায়কে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ইয়াজিদি সম্প্রদায় এখনো ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

তিনি বলেন, তারা (আইএস) আমাদের ধর্মকে পরিত্যক্ত ঘোষণার চেষ্টা করছে। অথচ আমরা ইরাকের সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। এই ধর্মের শেকড় প্রাচীন সভ্যতা মেসেপোটমিয়ায় প্রোথিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।