ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এমএইচ৩৭০: সমুদ্রগর্ভে বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও গভীর খাতের সন্ধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪
এমএইচ৩৭০: সমুদ্রগর্ভে বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও গভীর খাতের সন্ধান

ঢাকা: কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হওয়ার মতো অবস্থা। ভারত মহাসাগরে নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজ এমএইচ৩৭০ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে সমুদ্রগর্ভের অজানা তথ্য।

প্রথমবারের মতো সমুদ্র তলদেশে বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া সমুদ্রগর্ভে ১৪০০ মিটার ( ৪৫৯৩ ফুট) খাদেরও অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

২৬টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত অনুসন্ধান দলের প্রকাশ করা থ্রিডি ছবিতে সমুদ্রতলদেশের এসব অজানা তথ্য উঠে এসেছে।  

দীর্ঘদিন ধরে ভারত মহাসাগরে দক্ষিণ অংশে ‘অগ্রাধিকার’ ভিত্তিতে এমএইচ৩৭০’র সন্ধান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে ৫৮টি কঠিন বস্তুর সন্ধান পাওয়ার পর অগ্রাধিকারভিত্তিক এলাকা নির্ধারণ করা হয়।  

থ্রিডি পিকচার আকারে প্রকাশিত সমুদ্রগর্ভের এমন ছবি আর কখনো দেখা যায়নি।

দ্য অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি) প্রতিফলিত শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে পানিতে নিমজ্জিত বস্তুর সন্ধান ও অবস্থান নির্ণয় করার যন্ত্র সোনার ব্যবহার করে ছবিগুলো তুলে। এলাকাটিতে তারা এখন নতুন করে ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান চালাবেন।
mh_1_
এরপর অনুসন্ধান দলটির সমুদ্র তলদেশে ইঞ্চি ইঞ্চি করে উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ এর সন্ধান করবেন। এজন্য ২-৩টি গভীর সমুদ্র যান পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

গভীর সমুদ্র যান যেকোনো কঠিন বস্তুর অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে, ইলেকট্রনিক নাকের মাধ্যমে পানিতে উড়োজাহাজের জ্বালানি মিশে থাকলেও তা বুঝতে পারবে।
গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাত্রাকালে হারিয়ে যায় এমএইচ৩৭০। ঘটনার ছয় মাস পার হতে চললেও উড়োজাহাজের কোনো চিহ্নও পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, এমএইচ৩৭০ অনুসন্ধান ইতিহাসের অন্যতম জটিল ও ব্যয়বহুল অনুসন্ধান হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।