ঢাকা: প্রথমবার পদত্যাগপত্র পাঠানোর এক সপ্তাহের মাঝেই দলের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবারো পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির (এএপি) জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে আগের বারের মতো এবারও তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যাত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (৪ মার্চ) দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক বসার কিছুক্ষণ আগে এই পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন এএপি প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজের প্রচণ্ড চাপের মাঝে আছেন জানিয়ে একই সাথে দলের জাতীয় আহ্বায়কের দায়িত্ব সামলানোও তার জন্য কষ্টকর বলে উল্লেখ করেন কেজরিওয়াল।
এক সপ্তাহের মাঝে এটি তার দ্বিতীয় পদত্যাগ পত্র। এটিও আগেরটার মতোই প্রত্যাখ্যাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বুধবারের নির্বাহী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না কেজরিওয়াল। ব্লাড সুগারের চিকিৎসা করাতে এখন তিনি ব্যাঙ্গালোরে অবস্থান করছেন।
এদিকে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আজ এএপির দুই বিদ্রোহী নেতা যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে বলে জল্পনা কল্পনা চলছে ভারতীয় রাজধানীর রাজনীতির অন্দর মহলে।
দিল্লিতে সরকার গঠনের এক মাস পার না হতেই কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠেন ওই দুই নেতা।
এক অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, খুব সম্ভবত যাদব এবং ভূষণকে দলের নির্বাহী পর্ষদ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
প্রশান্ত ভূষণ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের একজন নেতৃস্থানীয় আইনজীবী এবং এএপি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অপরদিকে যোগেন্দ্র যাদবকে একজন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তবে নির্বাহী কমিটি থেকে যদি তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে, সে ক্ষেত্রে তারা দল থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে চলমান সংকটে হতাশা ব্যক্ত করে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) পর পর দু’টি টুইট করেন কেজরিওয়াল। প্রথম টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, দলে যা হচ্ছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই আঘাত পেয়েছি। দিল্লির জনগণের সঙ্গে এটি বিশ্বাসঘাতকতা।
পরের টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এ কুৎসিত দ্বন্দ্বে আমি নিজেকে জড়াতে চাই না। দিল্লির সরকার পরিচালনাতেই আমার মনোযোগ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫
** দলে দ্বন্দ্ব, মনে দুঃখ কেজরিওয়ালের