ঢাকা: যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাদানকারী সংস্থা রেডক্রস।
হুথি বিদ্রোহী দমনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর যৌথবাহিনী রোববার (৫ এপ্রিল) ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা দিতে তাদের অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে রেডক্রস।
সৌদির নেতৃত্বে সামরিক অভিযান শুরুর চতুর্থ দিন থেকেই ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আবেদন জানিয়ে আসছিল রেডক্রস।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) মুখপাত্র সিতারা জাবিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আমরা অনুমতি পেয়েছি। আমরা মানবিক সহায়তা দিতে দু’টো উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে পারবো। প্রথম উড়োজাহাজ বিভিন্ন সহায়তা ও অপর উড়োজাহাজ আমাদের কর্মীদের নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে অবতরণ করবে।
সোমবারই (৬ এপ্রিল) উড়োজাহাজ দু’টো ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অবতরণ করতে পারবে বলে আশা করছে আইসিআরসি।
সিতারা জাবিন আরও জানান, অপর একটি চিকিৎসক ও অস্ত্রপচারকারী দলের ইয়েমেনে প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষা করছেন তারা। অনুমতি মিললে এই দলকে নৌপথে বন্দরনগরী এডেনে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে সৌদির রাজধানী রিয়াদে যৌথবাহিনীর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে রেডক্রসের অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া, বিভিন্ন এনজিওকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা তরান্বিত করতে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এই সুযোগে ইয়েমেনে আটকে পড়া বিদেশিদেরও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান যৌথবাহিনীর ওই মুখপাত্র।
অন্যদিকে, যৌথ বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ হলে শান্তি আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।
অবশ্য, এক্ষেত্রে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদির উপদেষ্টা সালেহ আল-সামাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যদি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহলে তা নিরপেক্ষ কোনো গোষ্ঠীর মধ্যস্থতায় হতে হবে।
তিনি বলেন, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সত্ত্বেও আমরা এখনও আলোচনার পক্ষেই রয়েছি। আগ্রাসন বন্ধ করা ছাড়া আমাদের আর কোনো শর্ত নেই। সেইসঙ্গে আমরা চাই, ইয়েমেন ও তার জনগণের প্রতি কোনো বিদ্বেষপূর্ণ অথবা আগ্রাসী মনোভাব নেই এমন কোনো আন্তর্জাতিক পক্ষ এই আলোচনার মধ্যস্থতা করুক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
আরএইচএ/এইচএ/