ঢাকা: সিরিয়ায় ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিবির ইয়ারমুক ক্যাম্পের সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। একদিকে সরকারি বাহিনীর গোলাবর্ষণ, অন্যদিকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও নুসরা ফ্রন্টের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে রয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী।
সোমবার (০৭ এপ্রিল) রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ইয়ারমুক ক্যাম্পের সংঘর্ষ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানায়, গত রোববার থেকেই এ এলাকায় সিরীয় সরকারি বাহিনীর হামলা বেড়েছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় মর্টার হামলা হয়েছে ওই এলাকায়।
গত বুধবার (০১ এপ্রিল) ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইয়ারমুক ক্যাম্পে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। সেসময় তাদের সঙ্গে একপক্ষ হয়ে লড়ছিল আল-কায়দা অনুগত আল-নুসরা ফ্রন্ট।
তবে সিরিয়ার অন্য এলাকাগুলোয় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত নুসরা ফ্রন্ট ইয়ারমুকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস’র (আইএনআরডব্লিউএ) মুখপাত্র ক্রাইস গানেস জানিয়েছেন, ইয়ারমুকে খাবার বা কোনো সহায়তাই পাঠানো যাচ্ছে না।
এ পর্যন্ত ৯৩ জন বেসামরিক লোককে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিবির থেকে উদ্ধার করা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে কোনো খাবার নেই, কোনো পানি নেই। খুব সামান্য ওষুধ হয়তো রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইয়ারমুক ক্যাম্পের অন্তত ৬০ ভাগ এলাকায় তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।
ভবনগুলোর উপর স্নাইপার রাইফেল স্থাপনসহ ওই এলাকায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
আইএনআরডব্লিউএ আরও জানিয়েছে, ইয়ারমুক থেকে দুই হাজার বেসামরিক লোক পালিয়ে অন্যত্র চলে যেতে পারলেও, প্রায় ১৮ হাজার এখনও সেখানে আটকা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারই শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
আরএইচ/এসএস