ঢাকা: সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ে দু’দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়।
তবে এতদিন পর বুঝি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে এবার। আর এক্ষেত্রে প্রথম সাড়াটা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই। কারণ সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিউবার নাম সন্ত্রাসী দেশের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক শীর্ষ সদস্যের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এ কথা জানিয়েছে।
সিনেটর বেন কারদিন এটাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
এটি হলে দুদেশে পুনরায় দূতাবাস চালু হতে পারে। কিউবার ওপরে পশ্চিমাদের আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হতে পারে।
শুক্রবার পানামায় একটি সম্মলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুই নেতার করমর্দনের একটি ছটি টুইটারে পোস্ট করা হয়। দুই আমেরিকার ৩৫টি দেশের সম্মলন ‘সামিট অব দ্য আমেরিকাস’ এ সাইডলাইনে মিলিত হন তারা।
সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো মিলিত হতে পারেন।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছে এমন অভিযোগ টেনে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় আরো রয়েছে ইরান, সুদান এবং সিরিয়ার নাম।
ইটিএ বসাক বিচ্ছিন্নতাবাদী ও কলাম্বিয়ান ফার্ক বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে কিউবাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
কেএইচ/