ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাগারে বন্দি দুই শিম্পাঞ্জীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ‘হেবিয়াস কর্পাস আইনে’ দায়ের করা একটি রিট আবেদন আমলে নিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
সোমবার (২০ এপ্রিল) আবেদনটি আমলে নেয় নিউইয়র্কের প্রাদেশিক সুপ্রিম কোর্ট।
বিখ্যাত ‘হেবিয়াস কর্পাস’ আইন অনুযায়ী, দেহ আছে এমন কাউকে বন্দি করতে হলে প্রথমে তাকে আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।
জানা গেছে, নিউইয়র্কের স্টনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে শিম্পাঞ্জী দু’টিকে আটকে রাখা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে ‘হারকিউলিস’ ও ‘লিও’ নামের ওই দুই শিম্পাঞ্জীকে ফ্লোরিডায় আশ্রয়স্থলে পাঠানোর দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য ননহিউম্যান রাইটস প্রোজেক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান একটি রিট আবেদন করে। তবে নিম্ন আদালত সে আবেদন আমলে নেননি।
পরবর্তীতে নিউইয়র্কের প্রাদেশিক সুপ্রিম কোর্টে একই দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করলে সোমবার তা আমলে নিয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।
ল্যাটিন ‘হেবিয়াস কর্পাস’ অর্থ ‘তোমার দেহ আছে’। যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রবর্তিত এই আইন ১২১৫ সালে প্রবর্তিত ম্যাগনা কার্টা চার্টারের মাধ্যমে বলবৎ হয় বলে অনেকে মনে করেন।
তবে কেউ কেউ এর বিরোধিতা করে বলেন, ম্যাগনা কার্টায় মানবাধিকার বিষয়ক এই আইনের মতো একটি নির্দেশ থাকলেও সরাসরি ‘হেবিয়াস কর্পাস আইন’ ব্যবহৃত হয় ১৩০৫ সালে রাজা প্রথম এডয়ার্ডের রাজত্বকালে।
সতের শতকে রাজা দ্বিতীয় হেনরির সময় ‘হেবিয়াস কর্পাস’ পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে সংবিধানে সংযুক্ত হয় বলে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন।
হেবিয়াস কর্পাস আইনটি মানুষের অধিকার রক্ষায় প্রণীত হলেও এখন এই আইনের সুবিধা পাচ্ছে শিম্পাঞ্জীও। এ ব্যাপারে রিট আবেদনকারীদের বক্তব্য হলো, শিম্পাঞ্জীরও দেহ আছে। তাই মানুষের মত শিম্পাঞ্জীও এই সুবিধা পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
আরএইচ/আরআই