ঢাকা: গত গ্রীষ্মের যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনঃনির্মানে প্রতিশ্রুত সাড়ে তিনশ’ কোটি ডলার অনুদানের মাত্র এক চতুর্থাংশ সহায়তা পৌঁছেছে ফিলিস্তিনে। বাকি সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দাতা গোষ্ঠীগুলো প্রতিশ্রুত সহায়তার মাত্র ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ (প্রায় ৯৫ কোটি ডলার) সহায়তা সেখানে পাঠিয়েছে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনঃনির্মানে ছয় মাস আগে কায়রো কনফারেন্সে সাড়ে তিনশ’ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দাতা গোষ্ঠীগুলো।
অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বেনিমা এ বিষয়ে বলেন, দাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি ‘বিফল বাক্যে’ পরিণত হয়েছে। খুব সামান্যই পুনঃনির্মান কাজ হয়েছে গাজায়। যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর হয়নি। সেই সঙ্গে সেখানে অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো চিহ্নমাত্র দেখা যায়নি আজ পর্যন্ত।
২০১৪ সালের গ্রীষ্মে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল পরিচালিত ‘অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ’ চলাকালে দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ও ৭১ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে।
দুই মাস চলার পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর যুদ্ধবিরতিকে কেন্দ্র করে ‘অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ’র সমাপ্তি ঘটে। এরপর ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিশরের রাজধানী কায়রোতে দাতা গোষ্ঠীগুলো এক বৈঠকে মিলিত হয়ে গাজা উপত্যকা, পশিচম তীরসহ পুরো ফিলিস্তিনে সহায়তা দিতে পাঁচশ’ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ অনুদানে একমত হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র গাজা পুনঃনির্মান ও উন্নয়নে সাড়ে তিনশ’ কোটি ডলার দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয় সে সময়। বাকি অর্থ পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য অঞ্চলে ব্যয় হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর গাজার কিছু ভবন মেরামতের কাজ হলেও সার্বিকভাবে কোনো উন্নয়নই হয়নি বলে এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরূপ সম্পর্কের জেরে কয়েকটি দাতা গোষ্ঠী অর্থ অনুদানের বিষয়ে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে বলেও এ সময় জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫
আরএইচ/আরআই