ঢাকা: পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে চার হাজার ছয়শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে চীন।
বেলুচিস্তানের গোয়েদার গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশ পর্যন্ত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এ বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার এ সফরেই বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে উভয় দেশের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বিপুল এই চীনা বিনিয়োগ বর্তমান ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেই সঙ্গে দেশটি চলমান বিদ্যুৎ সংকটও কাটিয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিপিইসি পরিকল্পনা অনুযায়ী, চীনা কোম্পানিগুলোকে দেশটির সরকার ও ব্যাংক ঋণ দেবে, যা দিয়ে তারা পাকিস্তানে বাণিজ্যিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারবে। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য মহাসড়ক ও রেললাইন স্থাপন করা হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় উন্নয়নের বিষয়টিও এই পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে পাকিস্তানের কয়লা, বায়ু, সৌর ও জলবিদ্যুৎ খাতে দেড় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চললে ২০১৭ সাল নাগাদ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে যাবে। এতে পাকিস্তানের জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত সাড়ে দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ যুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া সিপিইসি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে ফাইবার ক্যাবল সংযোগও স্থাপন করা হবে।
তবে চীনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে সরাসরি প্রবেশাধিকার পেয়ে যাবে চীন। ফলে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রাধান্য বিস্তারের পথে দেশটি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৫
আরএইচ/আরআই