ঢাকা: শনিবার (২৫ এপ্রিল) আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এখন পর্যন্ত বিহারে ১৪ জন ও উত্তর প্রদেশের কানপুরে দুই জনের মৃত্যু হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় ১২টা ১১ মিনিটে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মূল কম্পনের আগে ও পরে অনুভূত হয় আরও বেশ কয়েকটি কম্পন।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস‘র তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমাণ্ডুর অদূরে পোখরার কাছে লামজুং। এর ২৬ মিনিট পর দ্বিতীয় এবং ৮ মিনিট পর তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। বিভিন্ন মাত্রার মোট ১৫-১৭টি কম্পন অনুভূত হয় বলে স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্পে দিল্লি, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থানসহ বিভিন্ন জায়গা কেঁপে ওঠে।
বিহার থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানান, রাজ্যের দ্বারভাঙা ও সীতামারিসহ বিভিন্ন স্থানে দেয়াল চাপা পড়ে এবং ভূমিকম্প সৃষ্ট বিপর্যয়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর প্রদেশের কানপুরেও।
ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাদের অবস্থানস্থল থেকে জানাচ্ছেন, বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ধসে পড়ার খবর যেমন আসছে, তেমনি অনেক বড় বড় মার্কেট ও ভবনও হেলে পড়ার খবর আসছে। আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে রাজধানী দিল্লিসহ মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলো থেকেও।
এদিকে, ভূমিকম্পের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মোদী নিজেই এ তৎপরতা দেখভাল করছেন। তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে কথাও বলেছেন এবং তাকে দুর্যোগ মোকাবেলায় যাবতীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫/আপডেট ১৭০০ ঘণ্টা
কেএইচ/এইচএ/