ঢাকা: প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের সহযোগিতায় সেখানে উদ্ধারকারী দল, উদ্ধারকার্যে ব্যবহার্য সামগ্রী ও ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে উত্তর প্রদেশের হিন্দন বিমানঘাঁটি থেকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দল, উদ্ধারকারী সামগ্রী ও ত্রাণ নিয়ে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস উড়োজাহাজ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস কাঠমাণ্ডু পাঠানোর পর এখন সি-১৭ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই উড়োজাহাজও জরুরি স্বাস্থ্য সেবাদানে সক্ষম ৪০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ও উদ্ধার সামগ্রী এবং ত্রাণ নিয়ে রওয়ানা দেবে।
এছাড়া, একটি ১এল-৭৬ উড়োজাহাজও এনডিআরএফের সদস্যদের নিয়ে নেপালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্প আঘাত হানার পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে ফোন করে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার তত্ত্বাবধানেই কাঠমাণ্ডুতে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
অবশ্য, ভূমিকম্পে মোদীর দেশ ভারতও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো এখন পর্যন্ত বিহারে ২২ জন ও উত্তর প্রদেশে ছয়জন ও পশ্চিমবঙ্গে একজনের মৃত্যু হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। মোদী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। স্বদেশের দুর্যোগ মোকাবেলার তৎপরতাও দেখভাল করছেন মোদী।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় ১২টা ১১ মিনিটে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মূল কম্পনের আগে ও পরে অনুভূত হয় আরও বেশ কয়েকটি কম্পন।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস‘র তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমাণ্ডুর অদূরে পোখরার কাছে লামজুং। এর ২৬ মিনিট পর দ্বিতীয় এবং ৮ মিনিট পর তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। বিভিন্ন মাত্রার মোট ১৫-১৭টি কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে নেপালে এখন পর্যন্ত ৬৮৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
এইচএ