ঢাকা: দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের চার দশকপূর্তি উদযাপন করছে ভিয়েতনামের জনগণ। এ উপলক্ষে হো চি মিন শহরে এক সেনা প্যারেডের আয়োজনও করা হয়।
১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সাইগন (হো চি মিন) দখল করে নেয় উত্তর ভিয়েতনামের সেনারা। আর এর মাধ্যমেই এ দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়।
এর আগে ১৯৫৪ সালে ভিয়েতনামকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করে জেনেভা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমেই মূলত যুদ্ধের সূচনা ঘটে। উত্তর ভিয়েতনামের শাসনে ছিল কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী। আর দক্ষিণ ভিয়েতনামের শক্তি ছিল মার্কিন সহায়তাপুষ্ট সেনাবাহিনী।
১৯৬৪ সালে উত্তর ভিয়েতনামে এক শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভিয়েতনামের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৯৬৫ সালে সেখানে মার্কিন সেনাবাহিনী পৌঁছালে পরিস্থিত আরো জটিল হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বন্ধে প্যারিস শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে ভিয়েতনামে সরাসরি মার্কিন হস্তক্ষেপে বাঁধার সৃষ্টি হয়। তবে শান্তিচুক্তি দুই ভিয়েতনামের মধ্যে যুদ্ধে কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেনি।
অবশেষে ১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠীর উত্তর ভিয়েতনামী সেনারা দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সাইগন দখল করে নেয়। এর পরের বছরই দুই ভিয়েতনামকে একীভূত করা হয়। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটে।
বিশ বছর ধরে চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধে ত্রিশ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়। এছাড়া প্রায় ৫৮ হাজার মার্কিন সেনাও এ যুদ্ধে প্রান দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
আরএইচ