ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ার মাদক পাচারের দায়ে অভিযুক্ত আসামীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় ‘গভীর’ দুঃখপ্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) মহাসচিবের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দুঃখপ্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বিবৃতিতে বান কি-মুন বলেন, একুশ শতকে সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কোনো স্থান নেই।
বিবৃতিতে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় অন্যান্য মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে সাজা থেকে রেহাই দেওয়ারও অনুরোধ জানান।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায় নুসাকাম্বাঙ্গান দ্বীপে ফায়ারিং স্কোয়াডে এক ইন্দোনেশীয় ও সাত বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সাত বিদেশির মধ্যে কুখ্যাত ‘বালি নাইন’ মাদক চক্রের দুই অস্ট্রেলীয় সদস্য অ্যান্ড্রু চ্যান ও মিউরান সুকুমারানও ছিলেন।
এ ঘটনার পরপরই ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে অবস্থানরত অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়েছে তার সরকার। ২০০৬ সালে মাদক পাচারকালে আটক অ্যান্ড্রু ও মিউরানকে বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে দফায় দফায় অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু মাদক পাচার বন্ধে শক্ত অবস্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর প্রশাসন এসব বিষয়ে কর্ণপাতই করেনি।
অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট এ ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কে কালো সময় পার হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে নিজস্ব অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটি তার এই কঠোরতাকে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) ইন্দোনেশীয় অ্যাটর্নি জেনারেল প্রাসেত্য এ বিষয়ে বলেন, মৃত্যুদণ্ড কোনো আনন্দদায়ক বিষয় নয়। কিন্তু জাতিকে মাদকমুক্ত করতে হলে আমাদেরকে কঠোর হতেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
আরএইচ