ঢাকা: পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে, বিশেষ করে পূর্ব উপকূলে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। এসময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) নিউইয়র্ক, বোস্টন, ওয়াশিংটনসহ বেশ কিছু শহরে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গত ১৯ এপ্রিল পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে নিহত হয় ফ্রেডি গ্রে (২৫) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ। তার দেহে বেশ কিছু মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ঘাড়ে ও কণ্ঠনালীতে তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আঘাতগুলোর কারণেই ফ্রেডির মৃত্যু হয়।
নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে ফ্রেডিকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি ধারাল ছুরি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) নিহত ফ্রেডি গ্রে’র শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা পরই বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতার শুর হয় বলে জানা গেছে। এসময় হামলা, লুটপাট, চুরি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এরই প্রেক্ষিতে বাল্টিমোরে জরুরি অবস্থা জারি করেন মেরিল্যান্ডের প্রাদেশিক গভর্নর। সেই সঙ্গে এই এলাকায় এক সপ্তাহব্যাপী রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে ঘোষণা দেন মেরিল্যান্ড মেয়র স্টেফানি রওলিংস-ব্ল্যাক।
এদিকে, বাল্টিমোরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।
যেসব তরুণ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে তাদের বিষয়ে বিবৃতিতে ওবামা বলেন, তারা প্রতিবাদ করছে না। তারা কোনো বিবৃতিও দিচ্ছে না। তারা লুটপাট করছে, চুরি করছে।
যারা চুরি ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদেরকে ‘অপরাধী’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে এসময় হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, বুধবারের (২৯ এপ্রিল) বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও সেখান থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে, সে সংখ্যা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
আটক বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংস করে তোলার উস্কানি দিচ্ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫/ আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা
আরএইচ/জেডএস