ঢাকা: আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা হিমালয়কন্যা নেপালে চলছে মৃত্যুর মিছিল। সময় যত গড়াচ্ছে, ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়া মানুষগুলোকে জীবিত উদ্ধারের আশা ততোই কমে আসছে।
রাজধানী কাঠমান্ডুর ভক্তপুর এলাকায় ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় বলে নেপাল টাইমসের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
এদিকে, দুর্ঘটনার পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) কাঠমান্ডুর অপর এক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ বছর বয়সী এক বালককে।
এর আগে ভক্তপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া এক চার মাস বয়সী শিশুকে ভূমিকম্পের ২২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা। সনিত আওয়াল নামের ওই শিশুর কান্নার শব্দ উদ্ধারকর্মীদের কানে গেলে তারা সেখানে তৎপরতা শুরু করে।
এদিকে, ভূমিকম্পের ৮২ ঘণ্টা পর ঋষি খানাল নামে এক ২৭ বছর বয়সী যুবককেও জীবিত উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ার পর ক্রমাগত পাথর ঠুকে সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সে। ফরাসি সেনাসদস্যদের কেউ একজন সে শব্দ শুনতে পেলে তাকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
গত ২৫ এপ্রিল নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। এরপর গত পাঁচ দিনে বিভিন্ন মাত্রার অন্তত ৬০টি কম্পন অনুভূত হয় বলে স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
আরএইচ