ঢাকা: ব্রিটিশ রাজপরিবারের মুখ আলো করে আসা নতুন রাজকন্যাকে বিশ্ববাসীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট দম্পতি। হাসপাতাল ছেড়ে কেনসিংটন প্রাসাদে যাওয়ার সময় তার চেহারা উন্মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
শনিবার (০১ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (আন্তর্জাতিক সময় বিকাল ৫টার) কিছু পর লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালের সামনে বিশ্ববাসীর সামনে দ্বিতীয় সন্তানের চেহারা যখন উন্মুক্ত করছিলেন উইলিয়াম ও কেট, তখন ব্রিটিশ রাজপরিবারের নতুন এই অতিথি মায়ের কোলে ঘুমের দেশে।
এর আগে একই দিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় (আন্তর্জাতিক সময় ভোর ৫টায়) প্রসবব্যাথা উঠলে ডাচেস অব কেমব্রিজ কেটকে পশ্চিম লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার সঙ্গে ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামও ছিলেন।
এরপর স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে) জন্ম নেন ব্রিটিশ রাজদম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তবে তার জন্মের ঘোষণা আসে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (আন্তর্জাতিক সময় সকাল ১০টায়)। এরপর প্রায় ১২ ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করে নবাগতা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন উইলিয়াম ও কেট।
জন্মের সময় রাজকন্যার ওজন ৩ দশমিক ৭ কেজি (৮ পাউন্ড ৩ আউন্স) ছিল বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এদিকে, নতুন রাজকন্যার নাম নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনার। এরই মধ্যে একেকজন একেক নাম প্রস্তাব শুরু করেছেন। ব্রিটেনে মেয়েদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় নাম এলিজাবেথ, চার্লট ও ভিক্টোরিয়া। তবে এর বাইরেও কোনো নাম আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৩ সালের জুলাইতে প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটের প্রথম সন্তান প্রিন্স জর্জের জন্মের প্রায় দু’দিন পর তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১৯৮২ সালে প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার প্রথম সন্তান প্রিন্স উইলিয়াম জন্সের প্রায় এক সপ্তাহ পর তার ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৮ সালে জন্মের পর প্রিন্স চার্লসের নাম জানতে বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হয় প্রায় এক মাস।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৫
আরএইচ
** ব্রিটিশদের রাজকন্যা বরণ