ঢাকা: পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা বাল্টিমোরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসার প্রেক্ষিতে কারফিউ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (০৩ মে) মেরিল্যান্ড মেয়র স্টেফানি রওলিংস-ব্ল্যাক কারফিউ প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এ বিষয়ে স্টেফানি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় বলেন, প্রয়োজনের চেয়ে এক দিন সময়ও বেশি কারফিউ রাখার কোনো ইচ্ছেই আমার ছিল না। আমার বিশ্বাস, কারফিউ থাকার প্রয়োজনীয়তা আজ শেষ হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে নিহত হয় ফ্রেডি গ্রে (২৫) নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ। তার দেহে বেশ কিছু মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ঘাড়ে ও কণ্ঠনালীতে তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আঘাতগুলোর কারণেই ফ্রেডির মৃত্যু হয়।
নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে ফ্রেডিকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি ধারাল ছুরি উদ্ধার করা হয়।
২৭ এপ্রিল নিহত ফ্রেডি গ্রে’র শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা পরই মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই দিনই জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রাদেশিক গভর্নর।
সেই সঙ্গে একই দিন এক সপ্তাহের জন্য কারফিউ জারি করেন মেরিল্যান্ড মেয়র স্টেফানি রওলিংস-ব্ল্যাক। সেসময় জানানো হয়, প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
এদিকে, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাল্টিমোরের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে যুক্তরাষ্টুজুড়ে। গত ২৯ এপ্রিল নিউইয়র্ক, বোস্টন, ওয়াশিংটনসহ বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হাজার হাজার মানুষ।
পরে গত শুক্রবার (০১ মে) ফ্রেডি গ্রে নিহতের ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে আন্দোলনরত বাল্টিমোরের স্থানীয় জনগণ। এরপর থেকেই পরিস্থিতি আবার শান্ত হয়ে আসে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৫/ আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা
আরএইচ