কান্দাহার: কমপক্ষে ছয়টি সিরিজ আত্মঘাতী বোমা হামলার পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর কান্দাহারে তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।
তালেবানরা বলছে, প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয়, আফগান গুপ্তচর সংস্থা এবং পুলিশ স্টেশন ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ২ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছে। এসময় রাস্তায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আফগানিস্তানে যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র মার্কিন মেরিনের মেজর জেনারেল জেমস লাস্টার বলেন, এটা ছিল বেশ আক্রমণাত্মক একটি সংঘর্ষ যা আফগান নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিহত করতে পেরেছে।
গোলাগুলি শনিবার শেষ রাত পর্যন্ত চলে। তবে কর্মকর্তারা দাবি করছেন, রাতের বেলা আসলে জঙ্গিদের শহর থেকে হটিয়ে দিতে গুলি ছোড়া হয়। কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
এর আগে আফগান গুপ্তচর সংস্থার মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, গভর্নরের কম্পাউন্ডে সংঘর্ষ থেমে গেলেও তাদের কার্যালয়ে হামলা চলছিল। । নিহত দু’জন তালেবান জঙ্গি। এরা আত্মঘাতি বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
উভয়পক্ষে মেশিনগান, রকেটচালিত গ্রেনেড, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং একে-৪৭ থেকে গোলা বর্ষণ করেছে। শহরে কমপক্ষে ৭টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। পুরো শহর অচল হয়ে গেছে।
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, পরাজয় ঢাকতে জঙ্গিরা বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা করছে। আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ কাজ করছে তারা।
এর আগে বিন লাদেন হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল আফগান তালেবান।
তবে তালেবানের মুখপাত্র ইউসুফ আহমাদি বলেছেন, এটা তাদের পরিকল্পিত বাৎসরিক বসন্তকালীন হামলারই অংশ যা গত সপ্তাহে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিন লাদেনের মৃত্যুর সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।
কান্দাহার পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অবশ্য এ হামলার জন্য গত মাসে ৫০০ তালেবান বন্দির জেল থেকে পলায়নকেই দায়ি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, জেল থেকে পালানো বন্দিদের মধ্যে ১০৬ জন তালেবান কমান্ডার ছিলেন। এরা পালাতে না পারলে এমন হামলা হতে পারত না।
গত মাসেই কান্দাহারে পুলিশ প্রধান পুলিশের পোশাকধারী এক জঙ্গির আক্রমণে নিহত হন। এর আগে জানুয়ারিতে প্রাদেশিক গভর্নরের সহকারী আরেক হামলায় নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১১