ওয়াশিংটন: অ্যাবোটাবাদে মিলিটারি অ্যাকাডেমির নাকের ডগায় আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের আত্মগোপনের খবর পাকিস্তান জানত এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। একজন মার্কিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে পাকিস্তান জানত এমন তথ্য মিলছে না। বিন লাদেনের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা নথিপত্রের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দুরত্বে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একেবারেই নিকটে একটি বাড়িতে গত সোমবার মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে বিন লাদেন নিহত হন। এ ঘটনার পর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) যোগ্যতা এবং জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি একটি জটিল সম্পর্কও বটে। বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করার মতো পথ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি দমনে তারা বরাবর আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এটা আমাদের সাধারণ স্বার্থের সংগ্রাম। সন্ত্রাস দমন অভিযানে যে ব্যাপক সংখ্যক পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন তার জন্যে বিন লাদেনই দায়ি। সুতরাং সেখানে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের যৌথ স্বার্থ বিদ্যমান। আর একারণেই সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে পথ খুঁজে বের করতেই হবে। ’
অবশ্য পাকিস্তানের ভেতরই আল কায়েদা নেতার সমর্থন থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি এও বলেন, তার অর্থ এ নয় যে, পাকিস্তান সরকারও এর সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখতে ও বিশ্লেষণ করতে হবে এবং দেখতে হবে শেষ পর্যন্ত তা আমাদের কোথায় নিযে যায়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা পাকিস্তানিদের ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে, কিছু প্রশ্ন তো রয়েছেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১১