নয়াদিল্লি: আরবি ভাষা না জানলে বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য স্ত্রীর সামনে ‘তালাক’ শব্দটি উচ্চারণ করে শুনাতে আরবি জানা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া যাবে। এমন রায় দিয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি আদালত।
সাবির হুসাইন নামে এক শিয়া মুসলিম প্রতিনিধি নিয়োগ করে স্ত্রী মুমতাজের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আপিল করেন স্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা জজ রিতেশ সিং আপিল খারিজ করে দিয়ে এ রায় দেন।
তিনি বলেন, বিবাদি সাবির প্রমাণ করেছেন যে শিয়া মুসলিম আইন মোতাবেক তিনি বাদি মুমতাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফেলেছেন।
এর আগে মুমতাজ তার আপিলে উল্লেখ করেছিলেন, শিয়া মুসলিম আইন অনুসারে স্ত্রীকে তালাক দিতে হলে স্বামীকে অবশ্যই নিজ মুখে ‘তালাক’ শব্দ উচ্চারণ করতে হবে। সে আরবি ভাষা জানক বা জানুক।
এর বিপরীতে আদালত বলে, যেহেতু সাবির আরবিতে কথা বলতে পারেন না সেহেতু আইন অনুযায়ী আরবি জানা কাউকে দিয়ে তিনি একাজটি করাতে পারেন।
সাবিরের সঙ্গে মুমতাজের বিয়ে হয় ১৯৯২ সালে। দিল্লির উত্তর-পূর্বে ব্রাহ্মপুরিতে তারা থাকেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্ত্রীর নিষ্ঠুর আচরন এবং তার ও পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ২০০৫ সালে সাবির স্ত্রীকে তালাক দেন।
তাদের তালাকের সনদটি ইস্যু করে উত্তরপ্রদেশের মানসাবিয়া অ্যারাবিক কলেজ।
তবে তালাকের কোনো নোটিশ না দেওয়ায় স্ত্রী মুমতাজ এর বৈধতা নিয়ে প্রথমে বিচারিক আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন। এখানে আবেদন খারিজ হলে তিনি জেলা আদালতে যান।
আরবি ভাষা পড়তে পারেন কিন্তু বলতে পারেন না এ কারণে সাবির ফাজিল পাস এক ব্যক্তিকে তার প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করেন। তালাকনামায় দু’জন সাক্ষির সাক্ষরও রয়েছে। আদালতে সাক্ষিরা তাদের সাক্ষর সনাক্ত করে সাক্ষ্য দিলে আদালত এ বিয়ে বিচ্ছেদ বৈধ বলে ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১১