মাদ্রিদ: স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের লোরকা শহরে বুধবার রাতে ভূমিকম্পে কমপক্ষে আটজন প্রাণ হারিয়েছে। আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ ঘরের বাইরে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে।
মুরসিয়া রাজ্যে পাঁচ দশমিক দুই মাত্রার ওই ভূমিকম্পে শহরের অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল অ্যালিকান্তির ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণা-পশ্চিমাংশে এবং সমুদ্র উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এটি ছিল গত ৫০ বছরের মধ্যে স্পেনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
বুধবার বিকেলের দিকে ৪ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানার দুই ঘণ্টা পর আবারো ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে নিহতের সংখ্যা প্রথমে ১০ জন জানানো হলেও পরে তা সংশোধন করে বলা হয় ৮ জন। তবে আহতের সঠিক কোনো সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। যদিও স্পেনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অনেক আহত লোকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্পেনের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে পুরাতন স্থাপনাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোরকার ৯০ হাজার অধিবাসী বিভিন্ন চত্বরে, পার্কে বা খোলা জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তারা ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছে।
শহেরর মেয়র ফ্রান্সিসকো জোডার বলেছেন, এক তৃতীয়াংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেননি।
রেড ক্রস এসব ঘরছাড়া মানুষদের জন্য মাত্র ৮০০ বিছানার ব্যবস্থা করতে পেরেছে। বহু সংখ্যক মানুষ পার্কে, খেলার মাঠে বা শহেরর খোলা জায়গায় কষ্ট করে রাত্রিযাপন করছেন।
বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে জরুরি ভিত্তিতে ২২৫টি সামরিক এবং ৪০০ উদ্ধারকর্মীকে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দিতে রেড ক্রস ২৪টি এবং শহেরর হাসপাতাল থেকে ৩৫০টি অ্যাম্বুলেন্স উপদ্রুত এলাকায় পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
স্পেনের মুরসিয়া রাজ্যটি দেশের সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। ১৯৯৯ ও ২০০৫ সালে এখানে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১১