ঢাকা: লেবাননে চলমান বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী তাম্মাম সালাম।
কর্তৃপক্ষ সড়ক থেকে আবর্জনা সরিয়ে না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা আন্দোলন শুরু করে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ বিক্ষোভ পরবর্তীতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের রূপ নেয়। শনিবার (২২ আগস্ট) দেশটির রাজধানী বৈরুতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘের্ষর ঘটনাও ঘটে। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।
রেডক্রস জানাচ্ছে, ঘটনার দিন স্কার্ফ ও মুখোশ পরা অন্তত দুইশ তরুণ ব্যারিকেডে অবস্থান নেওয়া পুলিশদের লক্ষ্য করে পাথর ও বোতল ছুড়ে মারে। জবাবে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হন। এছাড়া অন্তত ৪০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রোববারও (২৩ আগস্ট) বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তাম্মাম সালাম।
সমালোচকরা বলছেন, শিয়া ও সুন্নি দলগুলোর সমন্বয়ে গড়া সালামের জোট সরকারে প্রতিবেশি সিরিয়ায় চলমান সংকটের প্রভাব পড়েছে। দুর্নীতি দেশটির রাজনৈতিক পক্ষাঘাতের মুল কারণ। তারই বড় প্রমাণ রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনা সরানোয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা।
সামির আব্দুল্লাহ নামে ৩৯ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, জনগণ রাস্তায় নেমেছে কারণ তাদের ঘরে বিদ্যুৎ নেই। তাদের লাখ লাখ সমস্যা। আবর্জনা সমস্যা তো এগুলোর মধ্যে মাত্র একটা। আমি সাবধান করে দিচ্ছি, এভাবে চলতে থাকলে একদিন লেবানন ধসে পড়বে।
এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী তাম্মাম সালাম সত্যিই যদি পদত্যাগ করে বসেন, তাহলে লেবাননে সাংবিধানিক শূন্যতা দেখে দেবে। কারণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য। সরকার ও সংসদের সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে সবকিছু। সালাম যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে অবশ্যই একজন প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
আরএইচ