ঢাকা: সূচকের লাগামছাড়া পতনে দিশেহারা এশিয়ার শেয়ার বাজার। সোমবার চীন, জাপান ও ভারত সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব শেয়ারবাজারে সূচকের ব্যাপক পতনের প্রেক্ষিতে দিনটিকে ‘ব্লাক মানডে’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
দরপতনে রেকর্ড করেছে চীনের সাংহাই স্টক মার্কেট। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দরপতন তরাণ্বিত হলেও সোমবার (২৪ আগস্ট) মাথায় হাত পড়েছে সেখানকার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরের সব অর্জন ধুয়ে নিয়ে গেছে সাম্প্রতিক এ ধস।
সোমবার সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সাড়ে ৮ শতাংশ নেমে ৩, ২০৯ দশমিক ৯১ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির পর এটাই একদিনে সূচকের সবচেয়ে বড় পতন। ওইদিন সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জে একদিনে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ পতন ঘটে সূচকের।
প্যান চোঙ নামে এক বিনিয়োগকারী দরপতনের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মনে হচ্ছে, পৃথিবীর শেষ সময় চলে এসেছে। চলতি বছর এপ্রিলে ৫০ হাজার ইউয়ান (৭,৯০০ ডলার বা ৬ লাখ ৮ হাজার টাকা) বিনিয়োগ করেছিলাম। চল্লিশ শতাংশ লাভও পেয়েছিলাম। কিন্তু তারপরই সব যেন ধুয়ে গেল।
সাংহাই ছাড়াও শেনজেন ও হংকং শেয়ারবাজারেও সূচকের পতন ঘটেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এদিকে, ভারতের সেনসেক্সও সূচকের পতন দেখেছে। সোমবার সেখানে সূচকের ১,৬২৫ পয়েন্ট পতন হয়। বলা হচ্ছে, সূচকের এ পতন ভারতীয় স্টক মার্কেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়। সেই সঙ্গে রূপির দামও পড়ে গেছে। ডলার প্রতি রূপির মান এখন ৬৭, যা আগে ছিল ৬৪।
জাপানেও সূচকের পতন হয়েছে। নিক্কেইয়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ নিচে নেমে গেছে সূচক। গত আড়াই বছরে দেশটির স্টক মার্কেটে এটাই সবচেয়ে বড় পতন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাংহাই স্টক মার্কেটের প্রভাবেই সেনসেক্স ও নিক্কেইয়ে মন্দা হাওয়া লেগেছে। দিনটিকে তারা এশিয়ার ‘কালো সোমবার’ বলে অভিহিত করছেন।
এশিয়ার মতো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটগুলোও সূচকের পতন দেখেছে। এক্ষেত্রেও পতনের কারণ হিসেবে চীনা স্টক মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতিকে দায়ী করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের এফটিএসই-তে সূচকের পতন হয়েছে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, পয়েন্টের হিসাবে যা আগের চেয়ে ১০০ নিচে। সিএসি ও ডিএএক্স-এও একই অবস্থা।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের সূচকে পতন হয়েছে সোমবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
আরএইচ/আরআই