ঢাকা: নেপালে প্রস্তাবিত নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ১৭ জন পুলিশ সদস্য।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে কারফিউ জারিসহ বিপুল সংখ্যক সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করেছে সরকার।
সোমবার দেশটিতে সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৪০০ কিলোমিটার পশ্চিমে তিকাপুরে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা বল্লম ও ছুরি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও জবাবে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এই সংঘর্ষে সাত পুলিশ কর্মকর্তা ও তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয় আরও অনেকে।
সেনা মোতায়েনের পর তিকাপুরের সরকারি প্রশাসক রাজকুমার শ্রেষ্ঠ জানিয়েছেন, শহর ও এর আশেপাশের এলাকার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
২০০৮ সালে সংবিধান প্রণয়নে নেপালে গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু চার বছরেও সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয় এ পরিষদ। পরিষদ নেতাদের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধীতার কারণেই তা সম্ভব হয়নি।
পরে ২০১৩ সালে ফের গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ গণপরিষদ প্রায় দুই বছরের চেষ্টায় সংবিধানের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে। এতে অভ্যন্তরীণ সীমানা চিহ্ন পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে নেপাল হবে ছয় প্রদেশের একটি যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু দেশের ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়বে উল্লেখ করে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও তাদের সমর্থকরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রথমে তারা দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেন। এরপর থেকেই নেপালে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
আরএইচ