ঢাকা: জিম্বাবুয়ের হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কে এক গাইডকে হত্যা করেছে বিখ্যাত সিংহ সেসিলের এক সহচর।
সোমবার দর্শনার্থীদের নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে সিংহদের একটি দলের খুব কাছে চলে গেলে কুইন টেরেন্স সোয়ালেস নামে ওই গাইডকে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে একটি সিংহ।
মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাফারি পার্কের জাহা নামে একটি সিংহ ওই গাইডের ওপর চড়াও হলে গুরুতর আহত হয় সে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিক্টোরিয়া ফলসের একটি হাসপাতালে মারা যায় ৪০ বছর বয়সী সোয়ালেস।
এ ঘটনায় হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের মালিক এক বিবৃতিতে জানান, সোয়ালেসের বুদ্ধিমত্তায় ছয় জন দর্শনার্থীর দলটির সবাই অক্ষত আছেন। সোয়ালেসের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
এদিকে, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিবেশবিদরা বলছেন সাফারি পার্কটিতে নানা অনিয়মের জের হিসেবেই এ ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নানা ঘটনায় আলোচনায় আসছে জিম্বাবুয়ের এই সাফারি পার্কটি। বিদেশি দর্শনার্থী ও গাইডদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অদ্ভুত সব খেয়াল পূরণে প্রায়ই বিরক্ত হয়ে ওঠে হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের প্রাণীরা।
চলতি বছরের জুলাই মাসে সাফারি পার্কটির বিখ্যাত সিংহ ‘সেসিল দ্য লায়ন’কে তীর ছুড়ে হত্যা করেন এক মার্কিন শিকারি ওয়াল্টার জেমস পালমার। পেশায় দন্ত চিকিৎসক ওই শিকারির এহেন কাণ্ডে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তীর বিদ্ধ হওয়ার পর অন্তত ৪০ ঘণ্টা যন্ত্রণা ভোগের পর মারা যায় সেসিল। হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ছিলো সেসিল। শুধু তাই নয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজেও ব্যবহৃত হতো সিংহটি।
সেসিল হত্যার কিছুদিনের মধ্যেই তার সহোদর জেরিকোকেও হত্যা করা হয়েছে এমন খবর নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
প্রিয় সহচর সেসিল ও জেরিকোকে হারানো হোয়াংগে ন্যাশনাল পার্কের শোকার্ত সিংহরা দর্শনার্থীদের খুব একটা সহ্য করছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতি বছর এই সাফারি পার্কটিতে ৫০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটে যার অর্ধেকই বিদেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এসইউ/আরআই