ঢাকা: বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ওই নারী বলেছিলেন, তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু, পাসপোর্ট ও তার গত ক’দিনের গতিবিধি দেখে সন্দেহ করেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) সদস্যরা।
অভিযুক্ত ওই নারীর নাম মসিয়া মুসা। রোববার (৩০ আগস্ট) তিনি আটকা পড়েছেন ভারতের হায়দরবাদ বিমানবন্দরে। ৩২ বছর বয়সী মর্সিয়া এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে হায়দরাবাদে আসার পর এনবিসি কর্মকর্তাদের জালে আটকা পড়েন।
এনবিসি কর্মকর্তারা বলেন, মর্সিয়াকে যখন বিমানবন্দরে চেক করা হচ্ছিল, তখন তিনি বলছিলেন, তার হাঁটতে অসুবিধে হচ্ছে, কারণ তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কিন্তু মর্সিয়ার পাসপোর্ট ও গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনবিসি সদস্যরা। এরপর মর্সিয়াকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বিমানবন্দরের হাসপাতালে। জালে আটকা পড়েই স্বীকারোক্তি দিতে থাকেন মর্সিয়া। তিনি বলতে থাকেন, সন্তান নয়, তার পেটে অর্থাৎ পাকস্থলীতে নিষিদ্ধ ড্রাগ বহন করছেন। ড্রাগভর্তি ছোট ছোট প্যাকেট গিলে সেগুলো পাচারের চেষ্টা করছিলেন।
এরপরই সেই ড্রাগ উদ্ধারে মর্সিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটস্থ মেডিকেল হাসপাতালে। সেখানে জোলাপ (কোষ্ঠ সাফকারী ওষুধ) খাইয়ে তার পেট থেকে নিষিদ্ধ ড্রাগের ১৬টি প্যাকেট বের করা হয়।
এনসিবি কর্মকর্তারা জানান, মর্সিয়াকে সন্দেহের মূলে ছিল তার গত ক’দিনের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের অস্বাভাবিকতা। কাগজপত্রে দেখা যায়, তিনি ২৩ আগস্ট জোহানেসবার্গ থেকে দুবাই যান। পরের দিনই তিনি উড়ে যান ব্রাজিলের সাও পাওলো। ২৮ আগস্ট আবার ফিরে আসেন দুবাই। এরপর ৩০ আগস্ট দুবাই থেকে আসেন হায়দরাবাদে।
কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, ব্রাজিল থেকে নিষিদ্ধ কোকেন এনে হায়দরাবাদে কাউকে দিতে চেয়েছিলেন মর্সিয়া। ১০ দিন পরই তার জোহানেসবার্গ উড়ে যাওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
এইচএ/