ঢাকা: হাঙ্গেরি থেকে ট্রেনে চেপে জার্মানির মিউনিখ ও অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পৌঁছাতে শুরু করেছে শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী।
সোমবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর থেকেই অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী ট্রেনগুলো এসব শহরে পৌঁছাতে শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রথম দিকে অভিবাসন প্রত্যাশী ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নীতির পথে চলার চেষ্টা করলেও পরে অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ অবস্থান পরিবর্তন করে। যারা এরই মধ্যে হাঙ্গেরিতে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে, তাদের বাদ দিতে চেয়েছিল দেশটি।
ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে সোমবার অনুষ্ঠিত ৠালিই এ অবস্থান পরিবর্তনে মূল ভূমিকা রেখেছে। এ ৠালিতে সাদা পোশাকে অন্তত ২০ হাজার মানুষ যোগ দেয়। এতে ‘মানবাধিকারের সীমান্ত নেই’, ‘কোনো ব্যক্তিই অবৈধ নয়’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে খোলা-সীমান্ত নীতি ও অভিবাসন নীতির কারণে। এবার ভিয়েনা ও মিউনিখে প্রবেশ করা অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই সিরিয়া থেকে যাওয়া। প্রথমে হাঙ্গেরি তাদের নিজ ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেয়। পরবর্তীতে অন্তত চারটি ট্রেনে চেপে এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা অস্ট্রিয়া ও জার্মানির উদ্দেশে রওনা হয়।
মিউনিখে অভিবাসন প্রত্যাশীরা পৌঁছাতে শুরু করেছেন সোমবার সন্ধ্যা থেকে। শহরের সেন্ট্রাল স্টেশনে এ জন্য স্বাগত জানিয়ে বোর্ডও ঝুলানো হয়। এ দৃশ্যে ট্রেন থেকে নেমেই অভিবাসন প্রত্যাশীদের চিৎকার করে ‘জার্মানি, ধন্যবাদ’ বলতে শোনা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনে চেপে এখন পর্যন্ত পাঁচশ অভিবাসন প্রত্যাশী মিউনিখে পা রেখেছে। সেখান থেকে বাসে করে তাদেরকে নিবন্ধনের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, একটি লরিতে ৭১ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাঁচ সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে অস্ট্রিয়ার পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
আরএইচ