ঢাকা: সিরিয়ায় অবিলম্বে ‘নো ফ্লাই জোন’ বাস্তবায়ন এবং বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার পক্ষে ক্রমেই সরব হয়ে উঠছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সহ মার্কিন রাজনীতিকরা। একই সঙ্গে সিরিয়া প্রশ্নে ওবামার ত্রুটিপূর্ণ নীতিরও তীব্র সমালোচনা করছেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় জন ম্যাককেইন ও জেব বুশের পর সিরিয়ায় নো ফ্লাই জোন বাস্তবায়নের জন্য ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাবশালী সিনেটর মার্কোস রুবিও।
তিনি বলেন, বাশার আল আসাদ বাহিনীর হাত থেকে বেসামরিক লোকদের রক্ষা এবং আইএসকে দমন করতে সিরিয়ায় ‘নো ফ্লাই জোন’ বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে সিরিয়া প্রশ্নে মার্কিন নীতি নতুন করে নির্ধারণেরও আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার ফরেন পলিসিতে ছাপা হওয়া এক নিবন্ধে তিনি বলেন, সিরিয়ায় একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রকে তুরস্ক ও জর্দানের মত আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে উদ্যোগী হয়ে একটি ‘নো ফ্লাই জোন’ বাস্তবায়ন করতে হবে যেন উদারপন্থি সিরীয়রা সেখানে তাদের মত করে শাসন কার্য পরিচালনা শুরু করতে পারে।
রুবিও একই সঙ্গে ওই অঞ্চলের সঙ্কট নিরসনে উপযুক্ত ভূমিকা নিতে ব্যর্থতার জন্য ওবামা প্রশাসনের নীতিরও তী্ব্র সমালোচনা করেন।
রুবিও ছাড়াও রিপাবলিকান দলের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী জেব বুশ আইএস ও বাশার আল আসাদের বাহিনীর হাত থেকে বেসামরিক লোকদের রক্ষার জন্য নিরাপদ এলাকা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
গত এপ্রিলে একই আহ্বান জানিয়েছিলেন রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন,লিন্ডসে গ্রাহাম এবং ডেমোক্রাট দলীয় সিনেটর রিচার্ড ডারবিন ও টিম কেইন।
এ বছর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পঞ্চম বছরে প্রবেশ করেছে। বিভিন্নমুখী লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ। যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এক কোটি সিরীয়। এর মধ্যে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন তের লক্ষ শরণার্থী। এছাড়া ইরাক, লেবানন ও জর্দানে আশ্রয় নিয়েছে আরও লাখ লাখ সিরীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
আরআই