ঢাকা: সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়ছে পাক অনুপ্রবেশকারী! ওদিকে সীমান্তে নিয়মিত গোলাবর্ষণ তো রয়েছেই। এর মধ্যে বাড়তি উৎপাত হিসেবে ভারতের বাণিজ্যিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের ব্যাংক পাড়াতেও হানা দিয়েছে পাকিস্তানের হ্যাকাররা।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের দুটি বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক, একটি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ও একটি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় সীমান্তের অপর পারের হ্যাকাররা। হ্যাকারদের উৎপাতে শ্লথ হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের অনলাইন ট্রানসেকশন সেবা।
সাইবার ক্রাইমের দুনিয়ায় এ ঘটনাকে মাঝে মাঝেই সাধারণ ‘ট্রাফিক ওভারলোড’ এর ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এগুলো আসলে ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনাইয়াল অব সার্ভিস’ বা ডিডিওএস। বিশ্বজুড়েই হ্যাকাররা প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিকে বিব্রত করতে এ ধরনের চোরা হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা।
গত জুলাই মাসে পাক হ্যাকাররা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ভারতের সাইবার সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষের একজন শীর্ষ কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি জানায়, হামলা হয়েছিলো তবে তা কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
বিশ্বে সাধারণত তিন ধরনের হ্যাকার দেখা যায়। এক যারা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্লাকমেইল করে থাকেন তারা।
এই ধরনের হ্যাকাররা মূলত পূর্বইউরোপ কেন্দ্রিক। তারা নিজেদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সংগঠিত। সারা বিশ্বব্যাপীই কম্পিউটার নেটওয়ার্কে হানা দেয় এই হ্যাকাররা। এদের ধান্দা মূলত মুফতে কিছু পয়সা হাতিয়ে নেয়া।
দ্বিতীয় টাইপের হ্যাকাররা অবশ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রতিপক্ষের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে হানা দেয়। এভাবে প্রতিপক্ষকে বিব্রত করাই এদের উদ্দেশ্য। পাকিস্তানি হ্যাকাররা মূলত এই শ্রেণীভুক্ত।
তবে তৃতীয় ও সবচেয়ে মারাত্মক শ্রেণীর হ্যাকাররা হলো রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত হ্যাকার যারা বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কিংবা বড় বড় কোম্পানিতে হানা দিয়ে ব্যবসায়িক গোপন তথ্য এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি করে। চীনা হ্যাকাররা মূলত এসব কাজে সিদ্ধহস্ত। সম্প্রতি হোয়াইট হাউজও এসব অপকর্ম আর না করতে সতর্ক করে চীনকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
আরআই