ঢাকা: ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন অারব সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে অর্ধশতাধিক সেনা। এর মধ্যে ৪৫ জনই সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বি মনসুর হাদির পক্ষে গত মার্চ থেকে হুথি বিরোধী অভিযান শুরুর পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এটাই সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা।
ইয়েমেনের সরকারপন্থী এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র মারিব প্রদেশে যৌথ বাহিনীর একটি অস্ত্রাগারে আঘাত হানলে নিহত হয় ৪৫ আমিরাতি সেনা। মারিব প্রদেশ ইয়েমেনের রাজধানী সানার ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম প্রাথমিকভাবে তাদের নিহত সেনার সংখ্যা ২২ বলে জানালেও শুক্রবার এ সংখ্যা ৪৫ বলে স্বীকার করে নেয়।
সানার হুথি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান সোভিয়েত আমলে নির্মিত তোচকা ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় ইয়েমেনি সেনারাও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি। তবে এর সংখ্যা কত তা জানাননি তিনি।
১৯৭১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেডারেশন গঠনের পর দেশটির ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক বিপর্যয়ের ঘটনা।
শুক্রবার হুথি বিদ্রোহীদের পৃথক এক হামলায় সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়েমেন সীমান্তে নিয়োজিত ৫ বাহরাইনি সেনা নিহত হয়। ৫ সেনা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মানামা সরকার।
ইয়েমেনে অভিযানের শুরুর পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আরব আমিরাতের বাহিনী। তবে তাদের কত সেনা এ অভিযানে নিয়োজিত সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি তারা।
গত মার্চ মাসে ইয়েমেনের বহিষ্কৃত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদির সরকারের সমর্থনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র আরব দেশগুলোর সামরিক বাহিনী।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হুথিরা রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নিলে দেশ ছেড়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি। সেখান থেকেই নির্বাসিত সরকার পরিচালনা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৫
আরআই