বিয়েবাড়িতে কতোকিছুই না হয়। আনন্দের মধ্যেও অনেক সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাও যে কতো ঘটে।
রাশিয়ার অনেক এলাকায় বিয়েবাড়িতে প্রায়শই ঘটে থাকে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিশেষ করে বন্দুকবাজির ঘটনা সেখানে আকছার ঘটছে। দেরিতে হলেও এবার টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। তারা এবার বিয়েবাড়িতে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাতলামিজনিত অপরাধ সামাল দিতে আলাদা এক পুলিশ ইউনিট গড়ে তুলেছে। এই বিশেষ পুলিশ বাহিনীর নামও রাখা হয়েছে ‘ওয়েডিং পুলিশ’। এই বাহিনী বিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিয়েবাড়ির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি বর ও কনেপক্ষের অতিথিদের আসা-যাওয়ার পথেও সার্বিক নিরাপত্তার দিকটা দেখভাল করবে।
এই বাহিনীর প্রতিটি দলে থাকবে ৪০ জন পুলিশ। বিয়ে বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে বর বা কনেপক্ষের মোটর শোভাযাত্রার সময় কোনোভাবেই যেন হাইওয়েতে চলার নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখবে এই পুলিশদল। তাছাড়া কেউ যেন বন্দুকের গুলি ছুড়ে আনন্দ নেবার নামে মানুষের মনে ভীতি ছড়াতে না পারে—সবই নিশ্চিত করবে এরা।
এই অভিনব পুলিশদল গঠন করা হয়েছে দক্ষিণ রাশিয়ার উত্তর ককেসাসের আদিগিয়া এলাকায়।
বলা বাহুল্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই এলাকায় বিয়েবাড়ি মানেই মাত্রাতিরিক্ত পানাহার, হৈহুল্লোড়, বিশঙ্খলা, বন্দুকবাজির অপর নাম। অনেক সময় তা ব্যাপক সংঘর্ষ ও খুনোখুনিরও কারণ।
‘ওয়েডিং পুলিশ’ বাহিনী গড়ার সুবাদে এসব চিরতরে বন্ধ হবে –এমনটাই আশা করছেন আদিগিয়া প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকসান্দর রেচিৎস্কি। সাধারণ মানুষও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে নববিবাহিত দম্পতিদের তরফ থেকে প্রাদেশিক সরকারকে এজন্য অভিনন্দনও জানানো হয়েছে। কেননা অনেক বর-কনে বিয়েবাড়ির সহিংসতায় গুলিতে প্রাণহানির উদাহরণও টেনেছেন। বরযাত্রীদের গাড়ি থেকে ছোড়া গুলিতে সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ আগস্ট আদিগিয়ার রাজধানী মাইকপে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৫
জেএম/