ঢাকা: হাঙ্গেরিতে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে শরাণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীরা। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সার্বিয়া সংলগ্ন সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় শরণার্থী কেন্দ্রে পুলিশ বেরিকেড ভেঙে উত্তরে বুদাপেস্টের দিকে যাত্রা করেছে তারা।
স্থানীয় সময় সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রোজকে গ্রামে অবস্থিত একটি কেন্দ্র থেকে উত্তেজিত শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীরা পায়ে হেঁটেই যাত্রা শুরু করেন বলে পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। একইদিন হাঙ্গেরিতে শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বৈঠকের পর সাবা হেন্দে পদত্যাগ করেন।
হেন্দের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান এরই মধ্যে ইস্তভান সিমিৎস্কোকে হাঙ্গেরির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেরিকেড ভাঙা প্রসঙ্গে হাঙ্গেরির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শরণার্থী কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসাদের কোনো বাধা দেয়নি পুলিশ। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে তারা হাঙ্গেরি ও সার্বিয়ার সংযোগ সড়ক ‘এমফাইভ হাইওয়ে’তে গিয়ে ওঠে। এসময় তারা ‘জার্মানি, জার্মানি’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে, জার্মান রেল কোম্পানি জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত ট্রেনে চেপে ২২ হাজার আশ্রয়প্রার্থী দেশটিতে প্রবেশ করেছে। তবে ট্রেনের টিকিট কেনার সময় আবার হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ বিদেশিদের ভিসা পরীক্ষা শুরু করায় শরণার্থীদের স্রোতে ভাটা পড়েছে।
ইউরোপে চলমান অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় জার্মানি ৩২ হাজার, ফ্রান্স ২৪ হাজার ও যুক্তরাজ্য ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের সহায়তা, পুনর্বাসন ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যয় সংকুলানে ৬ বিলিয়ন ইউরো (৫২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা) বরাদ্দ করেছে জার্মান সরকার।
তবে ২০ হাজার শরণার্থী নেওয়ার ঘোষণা দিলেও শর্ত জুড়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা এরই মধ্যে ইউরোপে পৌঁছে গেছেন তাদের মধ্যে থেকে নয়, জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরে থাকা সিরীয় উদ্বাস্তুদের মধ্যে থেকেই এই ২০ হাজার জনকে বেছে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫/আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা
আরএইচ