ঢাকা: তুরস্কের সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা তিন বছরের সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাকে স্মরণ করেছে মরক্কো ও ফিলিস্তিনের অধিবাসীরা।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) মরক্কোর রাজধানী রাবাতের একটি সৈকতে লাল টি-শার্ট ও কেডস পরে অন্তত ৩০ জন আয়লানের মতো করেই ২০ মিনিট ধরে শুয়ে থাকে।
গত ২ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয় আয়লানের মরদেহ। গত ১ সেপ্টেম্বর ১২ সিরীয় ইউরোপ পাড়ি জমাতে তুরস্কের বোদরাম উপদ্বীপ থেকে গ্রিসের এজিয়ান দ্বীপের উদ্দেশে দু’টো নৌকায় চেপে রওয়ানা হয়। এই ১২ জনের মধ্যে আয়লান ও তার বড় ভাই পাঁচ বছরের গালিপও ছিল। কিন্তু সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর বৈরী আবহাওয়া তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছাতে দেয়নি। মায়ের কোল থেকে শিশু দু’টিকে যেন ছিনিয়ে নিল সমুদ্র। ভাসিয়ে নিল তুরস্কের সৈকতে। আর তার মা রেহান ভেসে গেলেন দূরের অন্য এক সৈকতে।
সৈকতে আয়লানের মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন তুর্কি সংবাদসংস্থা দোগান’র (ডিএইচএ) ফটো-সাংবাদিক নিলুফার দেমির। তার তোলা ছবিতে ভর করেই যেন পরবর্তীতে বিশ্বকে স্থবির করে দেয় আয়লান।
গত বছর যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলি হামলায় চার ফিলিস্তিনি শিশু যে স্থানে নিহত হয়, তার থেকে স্বল্প দূরত্বে গাজা উপত্যকার সৈকতে আয়লানের বালুর ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।
** স্ত্রী-ছেলেদের কবরের পাশেই কাটিয়ে দেব বাকি জীবন
**আয়লানকে দেখে নড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম
** সেই ছবিতে কাঁদছে বিশ্ব
** অন্যদের বাঁচাতে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হই
** কোবানে সমাহিত আয়লান
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
আরএইচ